পটুয়াখালী শহরের জুবিলী স্কুল সড়কে মনসা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোর রাত পৌনে ৫টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে, যার ফলে পাঁচটি বসতঘর ও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে আধাঘন্টার মধ্যে সার্ভিসের চারটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করেন সদর থানা পুলিশ, আনসার ভিডিপি, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে রয়েছেন জয়ন্তু রায়, নির্মল কর্মকার, রিপন কর্মকার, ধিমান কর্মকার, বাবুল চন্দ্র শীল ও বিকাশ চন্দ্র দাসের বসতঘর। এছাড়া নিকুঞ্জ সোনা ঘর ও শ্যামল আর্ট নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা জানান, আগুন লাগার মুহূর্তেই তাদের সঞ্চিত সম্পদ, ঘরের জিনিসপত্র এমনকি শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট ও ল্যাপটপ পর্যন্ত পুড়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজন কুমার দাস বলেন, ‘এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আগে দেখিনি। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন সবকিছু পুড়িয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আসায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে।’
ক্ষতিগ্রস্ত বাবুল চন্দ্র শীলের কন্যা অর্পিতা রানী শীল বলেন, ‘এই আগুন আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। আমাদের স্বপ্ন, আশ্রয় সব কিছু কেড়ে নিয়েছে। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব, সেটাই বুঝতে পারছি না।’
পটুয়াখালী আনসার ব্যাটালিয়নের সহকারী উপ-পরিচালক মো. ফরিদ উদ্দীন বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনসার সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধার কাজে অংশ নেই।’
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ রাজিব জানান, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির ধারনা করা হচ্ছে। সটসার্টিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
এনএ/