১৬/০৫/২০২৫, ২২:৪৪ অপরাহ্ণ
27.2 C
Dhaka
১৬/০৫/২০২৫, ২২:৪৪ অপরাহ্ণ

বরগুনার আমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ দোকান পুড়ে ছাই

বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন লেগে নগদ টাকা মালামালসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্তদের।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, উপজেলার খেকুয়ানি বাজারে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বেল্লালের চায়ের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্টিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহুর্তের মধ্যে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পরে।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্তের মধ্যে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে নূর আলমের মুদি ও স্টেশনারি, শাহিনের মুদি ও মনোহরি, মো. ইমরানের অসিফা মেডিক্যাল হল, বেল্লালের চায়ের দোকান, হেলাল উদ্দিনের মুদি দোকান, আলাল উদ্দিনের সেলুন, পরিমলের সেলুন, রুস্তুমের চায়ের দোকান, মনিরুল ইসলামের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর গোডাউন, মো. সোহাগ মৃধার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দোকান এবং মনিরুল ইসলামের ৫টি খালি দোকনসহ মোট ১৬টি ঘর পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।

অগ্নিকান্ডে নূর আলমের নগদ ১ লক্ষ, শাহিনের ৬৫ হাজার, অসিফা মেডিকেল হলের ৫ হাজার, পরিমলের সেলুনের ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ক্ষতির পরিমান প্রায় দেড় কোটি টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, অগ্নিকান্ডে আমার ১টি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর গোডাউনসহ ৫টি ঘর পুরে ছাই হওয়ায় ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। তিনি আরো বলেন, অগ্নিকান্ডে আমার আর কিছুই রইলো না।

আমতলী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সেপেক্টর মো. হানিফ জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ৩ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। আগ্নিকান্ডে ১৬টি ঘর পুরে ছাই হয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারীভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

এনএ/

দেখুন: লুটপাট-অগ্নিসংযোগ: নিয়ন্ত্রণে আসেনি গাজী টায়ার কারখানার আগুন 

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন