ভূমিদস্যুতার অসংখ্য অভিযোগ অনলাইন গ্রুপের বিরুদ্ধে। জোর করে দখল করেছে শহীদ পরিবারের জমিও। মাথা গোজার সম্বলটুকুও হারিয়েছে পরিবারটি। কারো জমিতে চোখ পড়লে, সেটি দখল করে ভালো-মন্দ যেকোনো কৌশল নেয় আবাসন প্রতিষ্ঠানটি। কেউ জমি না দিলে, মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে করেন হয়রানি।
সৈয়দা মোছাদ্দিকা দিকু হলেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সৈয়দ সিরাজ উদ্দিনের কন্যা। ইসিবি চত্বরের কিছুটা দূরে, দক্ষিণ মানিকদীতে তার পরিবারের ৩ কাঠার প্লট। ২০০৪ সালে জমিটি কিনেন তারা। বছর খানেক আগে, অনলাইন গ্রুপ জমিটি কেনার প্রস্তাব দেয়।
জমি দেন, টাকা নেন, প্রস্তাবে রাজি হয়নি শহীদ পরিবারটি। তাই জোর করেই এটি দখল করে নেয় অনলাইন গ্রুপের আবাসন প্রতিষ্ঠানটি। নিজের জমিতেই যেতে পারছে না শহীদ পরিবারটি।
সেনাবাহিনীর অরসরপ্রাপ্ত সৈনিক ফিরোজ মিয়া ঢাকায় জমি কিনে অনলাইনে গ্রুপের খপ্পরে পড়ে হয়রানির গল্প জানালেন। জাতিসংঘ মিশন থেকে ফিরে সেই টাকায় নিষ্কণ্টক জমি কিনেছিলেন। তাতে চোখ পড়ে অনলাইন গ্রুপের। তারপর নানা দুর্বিপাকে যেতে হয়েছে তার।
স্বপ্না আক্তারের গল্পটা আরও বেদনার। ইসিবি চত্বরে, তারা বেশ কয়েক জন মিলে ৪১টি শেয়ারে ১২ কাঠার একটি জমি কিনেন, তাতেও চোখ পড়ে অনলাইন গ্রুপের। জমিটি বেদখল করতে, ৫টি শেয়ার প্রতারণা করে কিনে নেন, এরপর, অন্যদের চাপ দিচ্ছেন, পুরো প্লটটি তাদের দিতে।
অনলাইন গ্রুপের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল, চাপ দিয়ে কম দামে কেনার অভিযোগ নিয়ে আরও অনেক ভুক্তভোগী আছেন এলাকাজুড়ে। তারা অনেকে কথা বলার সাহস পান না। কারণ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে প্রতিষ্ঠানটি।
অনলাইন গ্রুপের এমডি খান মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, এসব বিষয়ে কথা বলতে দুই দিন তার অফিসে গেলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, কথা হয় তার প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে।
নির্যাতিত পরিবারগুলো বলছে, অনিয়ম-স্বেচ্ছাচার করে-পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আজ জবাবদিহিতার মুখোমুখী। অনলাইন গ্রুপের জবরদখল থেকেও রেহাই পাবেন, এমনটি আশা তাদেরও ।