অল্প সময়ের নোটিশে অনুরোধ করার পর, শেখ হাসিনাকে ভারতে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়। জানিয়েছেন, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জানান, শেখ হাসিনা দিল্লিতেই আছেন। শেষ পর্যন্ত কোথায় তার গন্তব্য, তা ভবিষ্যতই ঠিক করবে, বলেন তিনি।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মধ্যে পদত্যাগ করে শেখ রেহেনাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি কুর্মিটোলাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের বহনকারী ওই হেলিকপ্টারের টেইল নাম্বার ছিলো ৭৬৮২।
দেশ ছেড়ে ভারতের আগরতলায় যান তিনি। সেখান থেকে দিল্লি। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অন্য দেশে যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে সেফ প্যাসেজ দেবে ভারত।
এরই মধ্যে দফায় দফায় সর্বদলীয় বৈঠক করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, অল্প সময়ের নোটিশে ভারতে আসার আবেদন করেন শেখ হাসিনা। সময় দেয়া হবে ভবিষ্যত নির্ধারণের।
তবে ভারতেও থাকছেন না শেখ হাসিনা। চাইতে পারেন লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়। তবে সেটি নিয়েও খোলাসা করেননি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি-ও। সবশেষে দেয়া বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ দেখতে চায়।
বরং দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, যে ব্যক্তি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইছেন, তিনি প্রথম নিরাপদ যে দেশে পৌঁছান, সেখানেই চাওয়া উচিত।
তবে শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, এখনো ঠিক হয়নি কোথায় স্থির হবেন তার মা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা স্বজনদের সাথে সময় কাটানোর ইঙ্গিতও দেন জয়। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত কোথায় আশ্রয় নেন ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত শেখ হাসিনা।