২৪/০৫/২০২৫, ১৫:৪৯ অপরাহ্ণ
32 C
Dhaka
২৪/০৫/২০২৫, ১৫:৪৯ অপরাহ্ণ

অন্তর্বতীকালীন সরকার অনেক ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করছে না: মির্জা ফখরুল

অন্তর্বতী সরকার অনেক ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতে পারছেননা বলে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিবের।জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করে বলেন,সরকার নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন পড়বে।

শহীদ আসাদের ৫৬তম শাহাদাত বার্ষিকী  উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন  বিএনপি মহাসচিব।

বর্তমান সময়ে অন্তর্বতীকালীন সরকারের নানা কাজ নিয়ে নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল বলেন,দেশে যে সংকট চলছে তা নিরসনের জন্য সরকার নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করবেন।আর নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচনরে সময় নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন পড়বে।তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন,আমরা আশা করব সরকার নিরপেক্ষতার সাথে দেশে যে সংকট চলছে তা নিরসনে কাজ করবেন।

বিএনপি কেন নির্বাচন চায় তার ব্যাখা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন অনাকাঙ্খিতভাবে নির্বাচনের সময় কালক্ষেপন করলে অপশক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।নির্বাচন থেকে দেশবাসী প্রায় ১৫ বছর বঞ্চিত উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের একজন প্রতিনিধি নিয়োগের সুযোগ পাবেন। এখন জোর করে যদি বিষয়টাকে বিতর্কিত করে ফেলা হয় তাহলে জনগণ আবার তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

কথা উঠছে সব সংস্কার শেষে নির্বাচনের উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা প্রশ্ন রাখেন তাহলে কি চার পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে।তাহলে মানুষ আবার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা এখনও দেখছি যে, আমলাতন্ত্র আগে যে অবস্থায় ছিল এখনও সচিবালয় থেকে শুরু করে সমস্ত প্রশাসনে একইভাবে তাদের ভূমিকা পালন করছে। কোনো ধরনের রদবদল হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া একদম বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুল-কলেজগুলোতে সেভাবে লেখাপড়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এগুলো অতীত থেকেই এসেছে। সেগুলো পরিবর্তন এত অল্প সময়ে সম্ভবও নয়। 

মির্জা ফখরুল বলেন, সেজন্যই আমরা বলছি, নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার। নির্বাচন দ্রুত হলে যে সরকার আসবে, রাজনৈতিক অঙ্গীকার যেগুলো থাকবে সেগুলো পালন করার জন্য অবশ্যই দায়বদ্ধ থাকবে। 

এনএ/

দেখুন: ‘ব্যর্থতার দিকে এগুচ্ছে অন্তর্বতী সরকার’ 

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন