১৫/১১/২০২৫, ২১:০৯ অপরাহ্ণ
23 C
Dhaka
১৫/১১/২০২৫, ২১:০৯ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

অন্তর্বর্তী সরকারের মাঝে শেখ হাসিনার ছায়া দেখা যাচ্ছে : আনু মুহাম্মদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাঝে শেখ হাসিনার ছায়া দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

তিনি বলেছেন, ৫ আগস্টের পর জনগণের মধ্যে যে প্রত্যাশা ছিল, সরকার তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এখনও দেশে মব, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি চলছে। সরকার এভাবে উল্টো যাত্রা চালু রাখলে, জনগণের দ্রোহযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকালে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘শিক্ষার্থী-শ্রমিক ও জনতার দ্রোহযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আনু মুহাম্মদ।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের প্রতি বিভাজন ও বৈষম্য সৃষ্টির কারণে শেখ হাসিনার পতন অবশ্যম্ভাবী ছিল। তার বিরুদ্ধে দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষ জীবনবাজি রেখে মাঠে নেমে এসেছিল। এমন বিজয় আমরা বহুবার পেয়েছি। কিন্তু বিশ্বাস ঘাতকতার কারণে বারবার বিজয় ধরে রাখা যাচ্ছে না।

আনু মুহাম্মদ বলেন, কোনও অসঙ্গতি নিয়ে কথা বললেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়— রাতারাতি সবকিছু  পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আমরা তা জানি। তবে আমরা একটি পরিবর্তনের সূচনা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার সবকিছু আগের মতোই চালাচ্ছে। পাহাড় ও সমতলে মানুষ সমানভাবে আক্রান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, চব্বিশের আন্দোলন হয়েছিল কাজের বৈষম্য দূর করতে। অথচ এ সরকারের সময়ে একইভাবে প্রতিবাদী মানুষের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হচ্ছে। মব সন্ত্রাস চলছে। সরকারের কেউ কেউ মব সন্ত্রাসের পক্ষে সাফাই গাইছে।

আনু মুহাম্মদ এ সময় অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে শেখ হাসিনার নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তিনি প্রশ্ন রাখেন, মার্কিন স্বার্থ কেন সরকার বাস্তবায়ন করতে চায়। এই সরকার সব সময় ভারতের আধিপত্যের বিরোধী কথা বললেও বিগত সরকারের সময়ে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো প্রকাশ করছে না। তাই তাদের ভারতবিরোধী বক্তব্য বাগারম্ভর ছাড়া কিছুই নয়।

তিনি বলেন, চব্বিশের শহীদদের স্বীকৃতি দিতে হবে। তাদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে। আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে। মব সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও পাইকারি মামলা বন্ধ করতে হবে। বিদেশিদের সঙ্গে কোনও ধরনের চুক্তি গোপন করা যাবে না। নারী নিপীড়ন ও সাইবার বুলিং বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়, সে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিটি সংগ্রামকে মূল্যায়ন করতে হবে। তবে, সবার ওপরে স্থান দিতে হবে মুক্তিযুদ্ধকে। একে আওয়ামী লীগের সম্পত্তি মনে করা ঠিক নয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— শ্রমিক নেতা ক্বাফী রতন, সীমা দত্ত ও ড. সামিনা লুৎফাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে দ্রোহযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

পড়ুন : সাংগ্রাই জল উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে সাঙ্গ হলো বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন