
রাজধানীতে এখন প্লাটিলেট হাহাকারে ডেঙ্গু রোগীর স্বজনরা। দুই মাসের ব্যবধানে এর চাহিদা বেড়েছে অন্তত দ্বিগুণ। তবে চিকিৎসকরা বলছেন অনেক ক্ষেত্রেই হচ্ছে এর অপব্যবহার। ফলে প্রকৃত রোগীদের প্লাটিলেট পেতে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। অপব্যবহার বন্ধে চিকিৎসকদের জাতীয় গাইডলাইন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে, ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেটের জন্য স্বজনদের অপেক্ষা। এক ইউনিট প্লাটিলেট পেতে প্রয়োজন চারজন ডোনার। তাই বেশ কষ্ট করেই জোগাড় করতে হয় প্লাটিলেট।
চিকিৎসকের পরামর্শেই ১০ হাজারে নামার আগে প্লাটিলেট চাহিদার এমন অনেক আবেদন এখন চোখে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তথ্য বলছে, ডেঙ্গুর জন্য সেপ্টেম্বরের চেয়ে অক্টোবরে প্লাটিলেটের চাহিদা দেড়গুণেরও বেশি ছিল। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে তা ছিল দ্বিগুণ। যে চিত্র বদলায়নি এমাসেও। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বলছে, ১০ হাজারে নামার আগে প্লাটিলেটের চাহিদা এসেছে অন্তত ১০ ভাগ।
ডেঙ্গু রোগীর কখন প্লাটিলেট প্রয়োজন, প্রশ্ন ছিল চিকিৎসকদের কাছে।
এর অপব্যবহার ঠেকাতে চিকিৎসকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে এবছর ১৮২ জন। যার অধিকাংশই হাসপাতালে দেরিতে নেয়ার কারণে।
