কিশোরগঞ্জে তিন ছাত্রদল নেতাকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
আজ শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে শহরের গাইটাল জনতা রোডে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে গাইটাল এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শত শত নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এলাকাবাসী জানতে পারেন জনতা রোডের একটি বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। খবর পেয়ে এ বিষয়ে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করে এবং এক তরুণ ও তরুণীকে আটক করে। পরে তাদেরকে ভাড়া বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরেই এই জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল ইসলাম নওশাদ, সদস্য মোহাম্মদ মারুফ ও পৌর ছাত্রদলের সদস্য মো.ইমনকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের অপপ্রচার শুরু করে একটি পক্ষ। নামে-বেনামে বিভিন্ন ভুয়া আইডি থেকে তাদের বিরুদ্ধে তোলা হয় ধর্ষণের অভিযোগ। যদিও সেই তরুণী কারও নাম প্রকাশ করেনি বা ধর্ষণের অভিযোগ তুলেনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অপপ্রচার দেখে ক্ষুব্ধ হয় এলাকাবাসী। পরে তাদের উদ্যোগেই করা হয় মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন। এতে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন আলমগীর সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল আলম শিপলু, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
তাঁরা জানান, মূলত এই এলাকায় সবার অগোচরে একটি বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হতো। গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার সময় হাতেনাতে একটি ছেলেসহ এক ২৬ বছর বয়সী এক তরুনীকে (২৬) আটক করে এলাকাবাসী। পরে এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করে দেয়। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। পরে ওই মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে একটি ভিডিও ধারণ করে আমাদের এলাকার তিন ছেলের নাম জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। এই বিষয়টিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, এলাকার এই তিন যুবকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয়ার পাঁয়তারা করছে একটি কুচক্রী মহল। এর প্রতিবাদে আমরা এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, মেয়েটিকে আমি চিনিই না। ওই মেয়ের প্রতি কোনো অভিযোগও নেই। আমার অভিযোগ যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে তাদের প্রতি। আপনারা যদি ভিডিওটি ভালো করে দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন যে, ওই মেয়ে আমার নামই মুখে নেয়নি। অথচ একটি কুচক্রী মহল আমার রাজনৈতিক জীবন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য আমাকে জড়িয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
২৬ বছর বয়সী ওই তরুনীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সাথে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কয়েকজন মানুষ ভয় দেখাইয়া ভিডিও কইরা ফেইসবুকে দিতাছে। এদের কারও সাথেই আমার পরিচয় নেই।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এনএ/