বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অনুষ্ঠিত হলো প্যানক্রিয়াস পাথর অপসারণের জন্য উদ্ভাবিত ‘সহিদ পদ্ধতি’র ওপর সায়েন্টিফিক সেমিনার ও বিশেষ আলোচনা সভা।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালসের পৃষ্টপোষকতায় ‘প্যানক্রিয়াস পাথরে সহিদ পদ্ধতি’ শীর্ষক আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘সহিদ পদ্ধতি’ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন এর আবিষ্কারক অধ্যাপক ডা. সহিদুর রহমান।
ডা. সহিদুর রহমান জানান, প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয় পরিপাকতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। খাবার পরিপাকের এনজাইম ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ইনসুলিন প্যানক্রিয়াসে তৈরি হয়। প্যানক্রিয়াসে ইনফেকশন, পাথর, টিউমার ও ক্যান্সার প্রভৃতির সৃষ্টি হয়। প্যানক্রিয়াসে পাথর সাধারণত যে অঞ্চলে গরম বেশি পড়ে সে অঞ্চলে বেশি হয়।
তিনি বলেন, ‘‘আমি একটি নতুন ‘সহিদ পদ্ধতি’ আবিষ্কার করেছি এই প্যানক্রিয়াস পাথর অপসারণের জন্য। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ২১১টি সার্জারি করেছি। এই পদ্ধতি জাপানের টোকিওতে, ইন্দোনেশিয়ার বালিতে, ইউরোপের জার্মানিতে, উত্তর আমেরিকার বোস্টনে ও দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলে সফলভাবে উপস্থাপন করেছি। এই নতুন পদ্ধতি বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে।’’
তিনি জানান, যারা মদ পান করেন তাদের মাঝে এ রোগের হার বেশি। রোগের লক্ষণ হচ্ছে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, ওজন কমে যাওয়া। তবে ব্যথার তীব্রতা এত বেশি থাকে, যে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে পড়ে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ডা. মহসিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ডা. সারোয়ার আহমেদ সোবহান।
টিএ/