26 C
Dhaka
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

অপারেশন ডেভিল হান্ট: ঝিনাইদহে তথ্য দিতে পুলিশের গড়িমসি!

গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে শুরু হয় অপারেশন ডেভিল হান্ট। সারাদেশে এই অপারেশনে অসংখ্য মানুষ গ্রেপ্তার হলেও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তেমন আটক নেই। এজাহারভুক্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আটক না করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা আলোচনা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২৬ জনকে আটক করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। তবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পুলিশ। ওসি বলছে, বিস্তারিত তথ্য নিতে হলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যেতে হবে।

এদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টে আটকের তথ্য দেওয়া নিয়ে লুকোচুরি করার অভিযোগ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। রোববার দুপুরে এই অপারেশনে কালীগঞ্জ উপজেলায় আটকের তথ্য জানতে ফোন দেওয়া হয় কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে। তিনি অপারেশন ডেভিল হান্টে আটকের সংখ্যা জানালেন। এরপর তার কাছে আটকের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য বলা হয়। তিনি থানায় গিয়ে আনতে বলেন।

সোমবার দুপুরে পুনরায় ডেভিল হান্টে আটক হওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য জানতে ওসির কাছে ফোন করা হলে তিনি বলেন যে তিনি বাইরে আছেন এবং এসআই গিয়াসের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর কালীগঞ্জ থানায় দৈনিক কালবেলা, দৈনিক যুগান্তর, এবং নাগরিক টিভির প্রতিনিধিরা যান। সেখানে পৌঁছে এসআই গিয়াস উদ্দিন ওসির সাথে ফোনে কথা বলেন এবং জানান যে শুধুমাত্র আটক ব্যক্তিদের সংখ্যা দেওয়া যাবে, কিন্তু নামের তালিকা দেওয়া সম্ভব নয়।

সর্বশেষ সোমবার বিকেল ৩টা ২১ মিনিটে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার মুঠোফোনে জানান, আটকের তথ্য পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নিতে হবে।

এ ব্যাপারে দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি ওসমান গনি জুয়েল বলেন, তিনি গতকাল রবিবার দুপুর থেকে অপারেশন ডেভিল হান্টে আটকের তথ্য জানতে ওসির সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তিনি থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে সংখ্যা জানালেন। সংখ্যাটা তিনি ফোনেও জানিয়েছেন আগে। থানা থেকে আটকের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার কথা। তিনি রীতিমত সংবাদকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়ার জানান, বিষয়টি ওসির সাথে কথা বলে আপনাকে জানাবো।

এনএ/

দেখুন: কারা ডেভিল? কাদের ধরতে চলছে অপারেশন ডেভিল হান্ট?

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন