২৪/০৫/২০২৫, ১৬:৪৬ অপরাহ্ণ
32 C
Dhaka
২৪/০৫/২০২৫, ১৬:৪৬ অপরাহ্ণ

অবশেষে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিলেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের আশ্বাসে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে দাবি পূরণে গড়িমসি করা হলে পুনরায় বিক্ষোভ ও আন্দোলন বেগবান করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সময়ে সংবাদ সম্মেলন করেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনেও একই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছেন বলে জানান। তবে সেসময় শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নাকচ করে দেন। তারা জানান, আন্দোলন স্থগিতের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে এ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।

পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যাবেন বলে কথা দিয়েছেন। তাছাড়া ৮ সদস্যের কমিটি গঠনের কথাও জানিয়েছিল মন্ত্রণালয়।

পরে রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে পাঠানো কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান ৬ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এ আন্দোলনের যৌক্তিকতা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সচিবালয়ে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ৬ দফা বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে।

এতে আরও বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা জানিয়েছে এবং রূপরেখা প্রণয়নে তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছে। এ পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পড়ুন : বৈঠকে বসছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন