অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল নানা নাটকীয়তার পর।
সামরিক আইন জারির জন্য দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন মুখোমুখি হন তিনি। অভিশংসনের পক্ষে সমর্থন দেন পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ এমপি। যার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের এমপিরাও ছিলেন। প্রস্তাবের পক্ষে রায় দেন ২০৮ এমপি আর বিপক্ষে ছিলেন ৮৪ জন।

এর আগে, গত শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। সেদিন তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় বেঁচে যান। তবে শেষমেশ তার শেষ রক্ষা হলো না।

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের গত সপ্তাহে আকস্মিক স্বল্পকালীন সামরিক আইন জারি করাকে ঘিরে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। এরপর তাকে দায়িত্ব থেকে হটানোর ডাক দেয় বিরোধীদলের নেতারা। এমনকি ইওলের দলের প্রধান তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন এবং প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যেতে বলেন।

তবে এত কিছুর পরেও গত ১২ ডিসেম্বর টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইউন বলেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। ইউন আরও বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে তদন্ত বা অভিশংসন যাই আনা হোক আমি দৃঢ় থাকব। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। তবে শেষ রক্ষা আর হলো না তার। দেশটিতে অভিশংসন প্রস্তাব পাস করতে প্রয়োজন ছিল ২০০ ভোট।

এনএ/