বাবার জন্যই কাজ পান অভিষেক বচ্চন। ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে চলা অনবরত চর্চায় এ বার মুখ খুললেন অমিতাভ।
বলিউডে স্বজনপ্রীতি নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। বহুদিন ধরেই চলছে এই চর্চা। অনেক তারকাকেই এই স্বজনপ্রীতির অভিযোগে বিদ্ধ হতে হয়েছে। তবে কেউ কেউ আবার এই সব বিষয় থেকে বেরিয়েও এসেছেন নানা কৌশলে। এই তারকাদের তালিকায় আরও একটি নাম অভিষেক বচ্চন। যাঁকে প্রতি মুহূর্তে শুনতে হয়েছে অমিতাভ বচ্চনের ছেলে হওয়ায় সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তবে অভিষেক বরাবরই বলেছেন তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে কখনও কোনও রকম সাহায্য পাননি। এ বার এই বিষয়ে মুখ খুললেন অমিতাভ। ছেলের প্রশংসায় করলেন এক্স-এ পোস্টও।

অমিতাভ বচ্চন এক্স-এ একটি ফিল্ম সাইটের করা পোস্ট শেয়ার করেছেন।
যেখানে লেখা, ‘অভিষেক বচ্চন অকারণে স্বজনপ্রীতির শিকার হয়েছিলেন। আমরা যদি তাঁর সিনেমার তালিকা দেখি, তাহলে দেখা যাবে যে ভালো ছবির সংখ্যা অনেক বেশি।’ পোস্টে অমিতাভ বেশ কিছু হৃদয়স্পর্শী কথাও তুলে ধরেছেন।
হৃদয়ের অনুভূতি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমিও এই বিষয়টি অনুভব করি। এবং সেটা কখনওই অভিষেকের বাবা হিসেবে নয়। বরং, একজন দর্শক হিসেবে।’ বচ্চনের এই পোস্টে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন। সকলেই অভিষেকের প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ এমনকী এও বলেছেন যে অভিষেক ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা রত্ন। এবং ‘গুরু’ এবং ‘রিফিউজি’-র মতো ছবির মাধ্যমে এখনও দর্শকদের হৃদয়ে রয়েছেন ছোটে বচ্চন।
কেউ কেউ আবার অভিষেকের ভালো অভিনয়ের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘আপনি তো সত্যিই একজন কিংবদন্তি। আপনার বাবা ছিলেন নামজাদা কবি। তবুও তাঁকে অমিতাভের বাবা হিসেবেই পরিচয় দেওয়া হয়। আপনার ছেলে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সম্ভার। তবুও তাঁকে অমিতাভের ছেলে বলা হয়। এটাই হয়তো আপনার নামের সার্থকতা।
প্রসঙ্গত, একবার অভিষেক বচ্চন তাঁর একটি সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, বাবা কখনও আমায় কোনও ছবিতে কাজ পাইয়ে দেননি। বরং, আমি বাবার জন্য ‘পা’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছি। মানুষের বোঝা উচিত যে সিনেমা একটি ব্যবসা। প্রথম ছবি মুক্তির পর, যদি দর্শক আপনার মধ্যে কিছু দেখতে না পায়, অথবা ছবিটি যদি ব্যবসা করতে না পারে, তাহলে আপনি যত বড় পরিবারেরই সন্তান হোন না কেন, পরবর্তী কাজ কিছুতেই পাবেন না। এটাই জীবনের এবং ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র সত্য ও বাস্তব রূপ।
পড়ুন : নাহিদ ইসলামের পাঠ করা ঘোষণাপত্রে যা রয়েছে
দেখুন : খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ৯ স্বজনের নিয়োগ বাতিলে চিঠি |
ইম/