মোবাইল স্লো চলছে। কোনো কাজই দ্রুত করতে পারছেন না আপনি। মুক্তি পেতে প্লে স্টোর থেকে চলার জন্য কোনও ‘বুস্ট অ্যাপ’ ডাউনলোড করলেন। কিংবা মোবাইলে ওয়াইফাই সংযোগ করবেন, তার জন্য সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপ ডাউনলোড করলেন প্লে স্টোর থেকে। এমনই অনেক অ্যাপ আছে যা দরকারের সময়ে আপনি ডাউনলোড করেন প্লে স্টোর থেকে। কিন্তু সাবধান! এসব অ্যাপ ডাউনলোডের সুযোগেই মোবাইলে হয়তো ঢুকে পড়ছে ভাইরাস কিংবা হ্যাক হয়ে যাচ্ছে আপনার মোবাইল ফোন। সম্প্রতি গুগল এ রকম ২২টি অ্যাপকে চিহ্নিত করে ডিলিট করে দিয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এবেলাডটইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে গুগল প্রায় ৭ লাখ অ্যাপ ডিলিট করে দিয়েছিল! নতুন বছরের শুরুতেই এ রকম ২২টি অ্যাপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ।
অ্যাপগুলো হলো- স্মার্ট সুইপ, রিয়েল টাইম বুস্টার, ফাইল ট্রান্সফার প্রো, নেটওয়ার্ক গার্ড, এলইডি ফ্লাশলাইট, ভয়েস রেকর্ডার প্রো, ফ্রি ওয়াইফাই প্রো, কল রেকর্ডার প্রো, কল রেকর্ডার, রিয়েল টাইম ক্লিনার, সুপার ফ্লাশলাইট লাইট, কল ফ্লাশলাইট, মাস্টার ওয়াইফাই কি, ওয়াইফাই সিকউরিটি মাস্টার- (ওয়াইফাই এনালাইজার, স্পিড টেস্ট), ফ্রি ওয়াইফাই কানেক্ট, ব্রাইটটেস্ট এলইডি ফ্লাশলাইট অলমাইটলি, ব্রাইটেস্ট ফ্লাশলাইট, কল রেকর্ডিং ম্যানেজার, স্মার্ট ফ্রি ওয়াইফাই, ব্রাইটটেস্ট এলইডি ফ্লাশলাইট প্রো, ড. ক্লিনার লাইট, ওয়ালপেপার এইচডি-ব্যাকগ্রাউন্ড।
এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করলে মোবাইল ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার পাশাপাশি হ্যাক হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে প্রবল। তাই সব দিক বিবেচনা করেই এই অ্যাপগুলো ডিলিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ।
অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোর থেকে ‘প্লে-প্রটেক্ট’ অপশন নিয়মিত ব্যবহার করে ক্ষতিকর অ্যাপ সহজেই স্ক্যান করা যায়। চর্চাটি বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে গ্রাহককে নিরাপদ রাখার সামর্থ্য রাখে। গবেষকরা বলেন, হাজারো অ্যাপ গ্রাহককে বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য সক্রিয় থাকে সব সময়।