26.5 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

আইপিও জালিয়াতি ঠেকাতে আসছে আইন: ক্ষমতা পাচ্ছে এক্সচেঞ্জ

পুঁজিবাজারে আইপিও জালিয়াতি ঠেকাতে সংশোধন করা হচ্ছে আইন। এতে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জকে। এছাড়া সব স্তরের মানুষের অংশগ্রহণের জন্য রাখা হয়নি বাধ্যতামূলক বিনিয়োগ।

গত ১৬ বছরে আসা ১৩৪ কোম্পানির মধ্যে ৪২টিই চলে গেছে জেড ক্যাটাগরিতে। ফ্যাক্টরী বন্ধ, ইস্যু ম্যানেজারের প্লেসমেন্ট বাণিজ্যে ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘুষ লেনদেনের দৌরাত্মে বাজারে আসেনি ভালো আইপিও। যে কারণে তৈরি হচ্ছে আইপিওর নতুন আইন।

বিএসইসির টাস্কফোর্স কমিটি ও ফোকাস গ্রুপ আইপিও আইনে যেসব বিষয়ে আসছে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে তার মধ্যে রয়েছে আগের ডাচ-অকশন পদ্ধতি। অর্থাৎ যে দরে বিড করবে সেটিতেই কিনতে হবে শেয়ার। (গ্রাফিক্স)

এছাড়া এলিজিবল ইনভেস্টরদের লিমিট ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশে নামানো, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের লকইন ৩ মাস করার সুপারিশ এসেছে। (গ্রাফিক্স)

তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা হচ্ছে লেনদেনের প্রথম ৩ কার্যদিবস থাকবে না সার্কিট ব্রেকার ও কাট-অফ প্রাইসের ডিসকাউন্ট। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আগে কাট-অফ প্রাইসের ১০ শতাংশের কমে শেয়ার পেলেও এখন আর সেটি থাকছে না।

আইপিও অনুমোদনের সময় কমিয়ে আনা হচ্ছে ৬ মাসে। আইপিও আবেদনে ৫০ হাজার টাকার বাধ্যতামূলক বিনিয়োগ থাকছে না। একাধিক আবেদন যেন না করতে হয় সেজন্য রাখা হচ্ছে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ।

বহুজাতিক কোম্পানি ও ১ হাজার কোটি টাকা টার্নওভারের বড় কোম্পানিগুলোকে আনা হবে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে। এছাড়া হাজার কোটি ঋণ নেয়া কোম্পানিগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে আসতে হবে পুঁজিবাজারে। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৩০ কোটি ও বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে থাকতে হবে ৫০ কোটি টাকা মূলধন।

এদিকে আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জকে। এক্সচেঞ্জের অনুমোদনের পরেই অনুমোদন দিতে পারবে বিএসইসি। তবে এক্সচেঞ্জ যদি প্রত্যাখ্যান করে বিএসইসি পারবে না অনুমোদন দিতে।

এদিকে আন্ডাররাইটারদের নিয়ন্ত্রণে আনা ও ব্যয় সংকোচনে প্রিন্টের পরিবর্তে প্রকাশ করা হবে অনলাইনে। তবে জমাকৃত খসড়া নানা যুক্তি-তর্ক, সংযোজন-বিয়োজনের পরেই চূড়ান্ত হবে আইন।

পড়ুন: আইপিএলে এবারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ঈশান কিষান

দেখুন: আইপিও জালিয়াতি ঠেকাতে আসছে আইন, ক্ষমতা পাচ্ছে এক্সচেঞ্জ |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন