আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে কোনো পরিকল্পনা নেই,” যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি হল পাড়া-প্রশাসনিক ভবন-ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নিজেদের দাবি জানায়। তাদের মধ্যে ছিল, “আওয়ামী লীগের বিচার চাই, আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন জ্বালো,
একসাথে একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর,” এবং “এখনই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে”। এছাড়া “গণহত্যার বিচার চাই” ও “ বিষদাঁত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও” স্লোগানও শোনা যায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা প্লেকার্ডে লেখা বিভিন্ন বার্তা প্রদর্শন করেন, যেমন “খুনি লীগের পুনর্বাসন, রুখে দাও জনগণ” এবং “গণহত্যাকারীদের ঠাঁই নাই।”
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, “অবিলম্বে লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, না হলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। তারা যদি নির্বাচনে অংশ নেন, তবে বিএনপি ৩ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “আমরা কোন অবস্থাতেইলীগকে পুনর্বাসন করতে দেব না, তাদের কারণে দেশে আবার নারকীয় তাণ্ডব চালানো হবে।”
এদিকে, মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবির প্রতি অটল থাকেন এবং ঘোষণা দেন যে, “এখনই লীগ নিষিদ্ধ না করা হলে তারা রাস্তা ছাড়বেন না।” তাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে।
পরুনঃ রিফাইন্ড লীগ’ প্রসঙ্গে ফেসবুকে হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্ট
দেখুনঃ নিষিদ্ধ হোক, কেন চান না ফখরুল?
ইম/