ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ছয়গড়িয়া আলহাজ্ব শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। সোমবার (১০ জুন) দুপুরে স্কুল সংলগ্ন সড়কে তারা এ মানববন্ধন রচনা করে।
মানবন্ধন কর্মসূচীতে এলাকাবাসি ছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক ও বর্তমান সদস্য এবং জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে প্রতিবাদ জানায়। এসময় তারা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ চারটি শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানায়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ চারটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে দিনের পর দিন বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা বেগম নিজের পদ ধরে রাখতে একাধিকবার প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও নিয়োগ প্রক্রিয়া কাজ সম্পন্ন করছেন না। অন্যান্য পদেও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশলে নিয়োগ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছেন। তিনি কমিটির নিকট বিদ্যালয়ের আয়-ব্যায়ের হিসাব দেন না বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। কমিটির সদ্যেদের কথারও কোনো গুরুত্ব দেন না। এমনকি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও ভূমিদাতা আবুল বাশার মোবারকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেছেন। তাছাড়া তিনি বর্তমান কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ কমিটির তিনজন সদস্যের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক কথায় কথায় মামলা ঠুকে দেন এমন অভিযোগও রয়েছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারিরা; দ্রুত প্রধান শিক্ষকসহ শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার পাশপাশি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ছয়গড়িয়া আলহাজ্ব শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সেলিনা বেগম বলেন; আমি যাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি তারাই উদ্দেশ্যেমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বলেন; ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অনুমোদন ছাড়াই সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা করায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি যে কোনো সময় বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিতে পারবেন।