26 C
Dhaka
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

ঢাবি ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়নি আরেফিন সিদ্দিককে, আজিমপুর কবরস্থানে দাফন

আজিমপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে দাফন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের।

তবে জানাজা কিংবা ‘শেষ শ্রদ্ধা’ জানানোর জন্য তাকে নেওয়া হয়নি ৪০ বছরের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

এর আগে, আজ সকাল ১১টার দিকে গ্রিন রোডের তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ জুমা ধানমন্ডি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। এর কিছুক্ষণ পরে ওই ঈদগাহ মাঠে ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিকের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের ছোট ভাই সাইফুল্লাহ সিদ্দিক তুহিন গতকাল বলেন, মস্তিষ্কে স্ট্রোক ও রক্তক্ষরণজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

মরহুমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিউরোসার্জন অধ্যাপক নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় হঠাৎ পড়ে যান। পড়ে গিয়ে তিনি মাথায় আঘাত পান। এরপর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরুর পর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন আরেফিন সিদ্দিক।

২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষ করে পুনরায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই তাকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

পড়ুন : ছাত্ররাজনীতির গৌরব ফিরিয়ে আনা ছাত্রদেরই দায়িত্ব: আরেফিন সিদ্দিক

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন