বিশ্বব্যাপী আজ (২১ এপ্রিল) পালিত হচ্ছে বিশ্ব সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন দিবস। জাতিসংঘ ২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনটি উদযাপন করছে। মানবজাতির টেকসই উন্নয়নে নতুন চিন্তা ও উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতেই দিনটি ঘিরে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক বিশ্বকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন। মানবসমাজের জটিল সমস্যার কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে এই দুইয়ের বিকল্প নেই।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বৈশ্বিক পরিসরে উদ্ভাবনের জোয়ার বইছে। তরুণদের উদ্ভাবনী দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে প্রসারিত করতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো বা পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
২৫ মে ২০০১ সালে কানাডার টরন্টোতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দিবস। সেই দিনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কানাডিয়ান মারসি সেগাল। সেগাল ১৯৭৭ সালে সৃজনশীলতার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের সৃজনশীলতায় অধ্যয়নরত ছিলেন।
২১ এপ্রিল বিশ্ব সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দিবসকে পর্যবেক্ষণের দিন হিসাবে সংঘবদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘ ২৭ এপ্রিল ২০১৭ সংকল্প করেছে।
কানাডা ইন ক্রিয়েটিভিটি ক্রাইসিস শীর্ষক শিরোনামটি যখন জাতীয় পোস্টে উপস্থিত হয়েছিল, তখন তিনি বিশ্ব সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দিবস উদ্যাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সুতরাং জাতিসংঘ মানব বিকাশের সব ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের ভূমিকার সচেতনতা বাড়াতে ২১ এপ্রিলকে বিশ্ব সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন দিবস হিসেবে মনোনীত করেছে।
