২৩/০৫/২০২৫, ২০:১২ অপরাহ্ণ
29 C
Dhaka
২৩/০৫/২০২৫, ২০:১২ অপরাহ্ণ

আজ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের আহ্বান, কুয়েট ভিসিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম

সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুধবার (২৩ এপ্রিল) ক্লাস বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও, বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে কুয়েটের উপাচার্যকে (ভিসি) পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন তারা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে ‘কুয়েট বাঁচাতে শাহবাগ ব্লকেড’ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিল রেখে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতীকী অনশন পালনের আহ্বানও জানান শিক্ষার্থীরা। আর কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যক্রম হিসেবে বুধবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল করবেন তারা।


এর আগে, সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাবির টিএসসিতে এক কর্মসূচি থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টার মধ্যে কুয়েটের উপাচার্যকে পদত্যাগের জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে কুয়েট উপাচার্যকে না সরানো হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ‘কুয়েট বাঁচাতে শাহবাগ আবরোধ’-এর ঘোষণা দেয়া হয়।

মঙ্গলবার রাত ১০টার মধ্যে কুয়েটের উপাচার্য পদত্যাগ না করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে এসে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। রাত ১১টার পর আরও কয়েকশ শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে অবরোধে যোগ দেন। এসময় রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এসময় কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে স্লোগান দেন তারা। এরপর কর্মসূচি ঘোষণা করে রাত ১২টায় শাহবাগ সড়ক ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, সম্প্রতি কুয়েটে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এমন অবস্থার মধ্যে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে ও আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেয়া হয়।

এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন ১৫ এপ্রিল দুপুরে একের পর এক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। সেই সঙ্গে, উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনশন শুরু করেন কুয়েটের ৩২ শিক্ষার্থী। এর আগে, এক দফা দাবি পূরণে ২০ এপ্রিল করা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন তারা।

পড়ুন : কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ শিক্ষার্থীদের

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন