নগরীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে প্যাসিফিক জিন্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবেদিন আল মামুনকে অপহরণের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছিলো। আটককৃতদের মধ্যে রিশতি বিন ইউসুফকে ভুলবশত আটক করা হয়েছিল বলে আদালতের শুনানিতে প্রমাণ হয়েছে।
আজ বুধবার (১২ মার্চ)মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ দীর্ঘ শুনানির পর রিশতি বিন ইউসুফকে জামিনে মুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবেদিন আল মামুনকে কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা আবেদিন আল মামুনকে পতেঙ্গা সাগরপাড়, পাহাড়তলীর কর্নেলহাট জোন্স রোড ও আকবরশাহ্ থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাতে থাকে। এবং এ সময় আবেদিনের গাড়িচালক জুয়েলও জিম্মি ছিলেন। পরে অপহরণকারীরা আবেদিনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লিলি বেগমের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ১৫ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক আদায় করে। এরপর পাহাড়তলী জোন পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের এক যৌথ অভিযানে অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটালের সামনে থেকে আবেদিন আল মামুন ও তার ড্রাইভার জুয়েলকে উদ্ধার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, উত্তর কাট্টলীর নাজমুল আবেদিন, সিটি গেট এলাকার নইমুল আমিন ইমন (২২), সিডিএ ১ নম্বর এলাকার আরাফাত হোসেন ফহিম (২২) ও রিশতি বিন ইউসুফ (২৩)। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রিশতি বিন ইউসুফকে ভুলবশত আটক করা হয়েছে বলে আদালতে প্রমাণিত হয়।
গতকাল সোমবার (১২ মার্চ) মামলার শুনানিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ভিকটিমের স্ত্রী ও ড্রাইভার উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে জানা যায়, রিশতি বিন ইউসুফ ভিকটিমের স্ত্রী ও ড্রাইভারের অনুরোধে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।
ভিকটিমের ড্রাইভার জুয়েলের ভাষ্য মতে , অপহরণকারীরা যখন আবেদিন আল মামুনকে গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিলো ,তখন তিনি একা অসহায় বোধ করায় রিশতিকে গাড়িতে সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। আবেদিন আল মামুনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লিলি বেগমও আদালতে জানান, রিশতি তাদের আত্মীয় এবং প্রতিবেশী । তিনি নিজে সাহায্যের জন্য রিশতিকে ডেকেছিলেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে জানান, সিসিটিভি ফুটেজে রিশতিকে অপহরণকারীদের সঙ্গে দেখা যাওয়ায় তাকে আসামি ভেবে আটক করা হয়েছিল। তবে মামলার তদন্ত করার পর সব তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, রিশতি আসলেই ভিকটিমের পরিবারের সহযোগিতার জন্যই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।এই বিষয়ে আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রিশতি বিন ইউসুফ নির্দোষ প্রমাণিত হয় এবং তাকে জামিন প্রদান করা হয়। অন্যদিকে, বাকি তিন আসামীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
উক্ত ঘটনায়, আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, “গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এনএ/