বিদ্যুৎ খাতে আদানির সঙ্গে একতরফা চুক্তির ফাঁদে পড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুষ্টচক্রের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পিডিবি। তারা আদানির সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি চুলচেড়া পর্যালোচনা করে দাবি তুলছেন প্রকাশের। দেশীয় বিনিয়োগকারীরা বলছেন, আদানির বিদ্যুৎ আনাকে বৈধতা দিতে কৌশলে প্রশ্নে ফেলা হয় স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে।
বছর দুইয়েক আগে, বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর প্রাথমিক জ্বালানি আমদানিতে শুল্ক কর আরোপ করে সরকার। আদানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ঠিক আগ মুহুর্তে, বিগত সরকার কৌশলে এই কাজ করে।
স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে ব্যয় বহুল করে জনসম্মুক্ষে উপস্থাপন করে বিগত সরকার। এখনও প্রাথমিক জ্বালানিতে ৩৪ শতাংশ কর দিতে হয় স্থানীয় বিনিয়োগ গড়ে ওঠা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে। একতরফা এই চুক্তি-অন্তবর্তী সরকারের গলার কাটা মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়াতে আদানি থেকে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে পিডিবি, ২৫ বছর বিদ্যুৎ কেনার কথা সরকারের। পিডিবিকে দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে এনেছে-বিনা প্রতিযোগিতার এমন চুক্তি।
দেশীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকরা বলছেন, পতিত সরকার জনসমম্মখে তাদের খলনায়ক আর দুষ্টচক্র হিসাবে আখ্যায়িত করতে, মাত্র কয়েক পয়সা দামের তারতম্যকে জায়েজ করে কৌশলে।
বিদেশি কোম্পানীটির কাছে এখন দেনা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা, যা পিডিবির এক বছরের মোট লোকসানের সমান। বিশ্লেষকরা বিদ্যুৎ খাত অলিগার্কমুক্ত করতে, করছেন দুই বছরের পরিকল্পনার সুপারিশ।
এনএ/