প্রতিনিয়ত আদালতে বাড়ছে মামলার সংখ্যা । সে তুলনায় নিষ্পত্তি খুব ধীর। ফলে বাড়ছে মামলার জট। এতে চরম ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা। বিচার বিভাগ কে রাজনীতি করনের পাশাপাশি বিচারক ও বেঞ্চ সংকটকে দায়ি করছেন আইন অজ্ঞরা।
ন্যায়বিচারের আশায় বছরের পর বছর আদালতে ধর্না দিচ্ছেন, বিচারপ্রার্থীরা। তবুও মিলছে না কোন সুরাহা। তাই অনেকের ক্ষেত্রে আদালত এখন ভোগান্তির কারণে। বেশিরভাগ মামলায় শুনানির দিনক্ষণ ঠিক হলেও সঠিক তদন্তের অভাব,সাক্ষী না আসায় তা পিছিয়ে যায় বছরের পর বছর।

এমন বাস্তবতায় মামলার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে ২০১৫ সালে মামলার সংখ্যা ছিলো ২৮ লাখ, ২০১৯ সালে তা ৩৬ লাখ হয়ে ২০২৪ সালে বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫ টি। এসব মামলার মধ্যে ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪১টি দেওয়ানী মামলা এবং ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪টি ফৌজদারি মামলা।
দেশে ৯৪ হাজার ৪৪৪ জনের বিপরীতে বিচারকের সংখ্যা ১ জন। যা অন্য যে কোন দেশের থেকে বেশি। গড়ে বিচারক প্রতি বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৩০০-এর বেশি। মামলার সময় ও খরচ কমাতে বিচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কথা জানান প্রধানবিচারপতি।

মামলার জটের প্রধান কারন হিসেবে বিচারক ও বেঞ্চ সংকট কে দায়ী করেন সুপ্রিম কোর্টের ফৌজদারি মামলা বিশেষজ্ঞ এই সিনিয়র আইনজীবী।
তবে বিচার বিভাগ কে ক্ষমতাসীনদের দলীয় করনের ফলাফল এই মামলা জট বলছেন এই আইনজীবী।
অন্তবর্তী সরকারের অতিরিক্ত ২৩ বিচারপতি নিয়োগে মামলা নিষ্পত্তি তে দীর্ঘসূত্রিতার পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের দীর্ঘশ্বাস ঘুচবে বলে আশা মামলা সংশ্লিষ্টদের।
টিএ/