কোন অপরাধের বিচার কিংবা ন্যায্যতা বুঝে নিতে আদালতে যান বিচারপ্রার্থীরা। সেখানে নিরাপত্তার অধিকার সবার। সেখানেই অহরহ হেনস্তা হচ্ছেন অভিযুক্তরা। বিশেষকরে গর সরকারে প্রভাবশালী-নেতারা আদালত প্রাঙ্গণে গণরোষের শিকার হচ্ছেন। এমনটা কাম্য নয় বলছেন মানবাধিকার কর্মীরা। আইনজ্ঞরা বলছেন হাজিরায় নতুন কৌশল প্রয়োগের কথা।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগে একের পর এক আটক হন তার সরকারের এমপি, মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ ও বিচারপতিসহ অনেকে। রিমান্ড আবেদনে আদালতে নেওয়ার পথে বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন অভিযুক্তরা। বাদ যায়নি নারীরাও। ডিম ও জুতা নিক্ষেপ থেকে শুরু করে ঘটেছে মারধরের মত ঘটনা। কেউ কেউ মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে।
আদালতে আসামিদের হাজিরা করা হয় বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য। সেখানে’ই হেনস্তার স্বীকার হচ্ছেন আসামিরা। তাই প্রশ্ন উঠেছে বিচার ব্যবস্থা ও সরকারের স্বদিচ্ছা, সক্ষমতা নিয়ে।মানবাধিকার কর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ঘটনা কাম্য নয় একই সাথে হাই প্রোফাইল আসামিদের হাজিরায় করা যেতে পারে নতুন কৌশল।
আদালত এলাকায় আসামিকে হেনস্থা মানবাধিকারের লঙ্ঘন, বলেন মানবাধিকার কর্মীরা। এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ তাঁদের।
হেফাজতে নেয়ার পর অভিযুক্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। কোনো আসামির ক্ষেত্রে আদালতে তার নিরাপত্তার শঙ্কা থাকলে বিকল্প ব্যবস্থায় তার হাজিরা গ্রহন করা যেতে পারে বলে জানান আইনজীবীরা।
আদালতে আসামি আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার কথা বলছে পুলিশ সদর দপ্তর।