চোরাচালান না কি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব? ঝিনাইদহের এমপি আনার হত্যার পেছনে, কোনটি আসল কারণ, তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আছেন বেশ কজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। আর তাতেই হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক চেহারা পাচ্ছে। এদিকে, জেলাটিতে চলছে পাল্টাপাল্টি মিছিল।
দিন যত যাচ্ছে, ততই নতুন মোড় নিচ্ছে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ড। বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এতোদিন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীনের নাম এলেও, এবার জড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, শুরুতে স্বর্ণ চোরাচালান কেন্দ্রিক বিরোধের বিষয়টি সামনে ছিলো। তবে, আস্তে আস্তে বের হচ্ছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও। এর জের ধরেই, গত শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ।
মামলার আসামি শিমুল ভূঁইয়া ও বাবুর দেয়া তথ্যমতে, গতকাল ঢাকার ধানমন্ডি থেকে আটক করা হয়, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের তথ্য বলছে, এমপি আনার হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও চার নেতাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এদিকে, ঝিনাইদহে চলছে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ, মিছিল। সাইদুল করিম মিন্টুকে আটকের ঘটনায় আনন্দ মিছিল করেছে, নিহত আনারের রাজনৈতিক পক্ষ। অন্যদিকে, আটকের প্রতিবাদেও হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল।
নেতাকর্মীদের অনেকের দাবি, ষড়যন্ত্র করে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে, সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করা হয়েছে।