রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন রংপুর পুলিশ লাইনের এএসআই আমির হোসেন ও তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।
আজ শনিবার (৩ জুলাই) এই দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তের কারণে বলা হয়েছে, তারা ‘অপেশাদারি আচরণস্বরূপ’ শটগান থেকে ফায়ার করেছেন।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলোনে সংঘর্ষে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার দুই দিন পর পুলিশের পক্ষ থেকে বিচারের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে নির্বাচন করা হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার দিন দায়িত্ব পালনের সময় এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় অপেশাদার আচরণ করেন, যা সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলা পরিপন্থী। তারা কর্তব্যে অবহেলা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেছেন। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) পুলিশ ও ছাত্রলীগ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। তখনই আবু সাঈদ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাবা মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। ৯ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন।