২১/০৫/২০২৫, ৩:৪১ পূর্বাহ্ণ
25 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ৩:৪১ পূর্বাহ্ণ

আমদানি করা কয়লায় মাটি, ফিরিয়ে দেওয়া হলো চালান

কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লার চালানে বিপুল পরিমাণ মাটিমিশ্রিত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে এমভি ডিডিএস মারিনা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর কয়লাটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, এতে প্রচুর পরিমাণে মাটি রয়েছে। এর ফলে এই কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহারোপযোগী নয় বলে জানিয়েছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (সিপিজিসিএল)।

এটি জানা গেছে, ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়ে এই চালান পাঠিয়েছে।

কিন্তু চালানটির কয়লায় ব্যাপক পরিমাণ মাটি ছিল, যা পরবর্তীতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। সিপিজিসিএল এর পক্ষ থেকে ১৭ মার্চ জাহাজটি মাতারবাড়ী চ্যানেলে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে কয়লা খালাসের সময় কনভেয়ার বেল্ট বারবার বিকল হয়ে যায়, যা চলাচলের জন্য উপযুক্ত নয়।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক জানালেন, “আমরা চালানটি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাই এবং সরবরাহকারীকে অফিসিয়াল চিঠি দেওয়া হয়েছে।” ফলে জাহাজটিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে, সিপিজিসিএল ও শিপিং কোম্পানির নির্দেশে কয়লাবাহী জাহাজটি বহির্নোঙরে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, সিপিজিসিবিএল এর সঙ্গে মেঘনা গ্রুপ অভ কোম্পানিজ জাহাজটি পরিচালনা করেছে। মেঘনা গ্রুপের শিপিং অপারেশনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানান, তারা সিপিএ’র সঙ্গে আলোচনা করছেন এবং বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষ দেখছে।

মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্দেশ্য ছিল ১,২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এর প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে এবং পরে ২০২৩ সালের আগস্টে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হয়। এই কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বঙ্গোপসাগরের তীরে ১,৬০০ একর জমিজুড়ে নির্মিত হয়েছে।

এটি উল্লেখযোগ্য যে, সিপিজিসিবিএল কর্তৃপক্ষ ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা সংগ্রহের জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আদিত্য বিড়লা কনসোর্টিয়ামকে নির্বাচিত করেছিল। তবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ৯৬ লাখ টন কয়লা সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, যার পরে কিছু কারিগরি বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল।

এদিকে, কয়লার মিশ্রণ নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সিপিজিসিবিএল জানিয়েছে, তারা তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্তগুলো বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেই নেবে।

এ ঘটনা পুরো কয়লা আমদানির প্রক্রিয়ার দিকে নতুন আলো ফেলেছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

পড়ুন: ভারত থেকে এলো আমদানির সাড়ে ১১ হাজার টন চাল

দেখুন: ডলার সংকটে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে আমদানি বাণিজ্যে ধস |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন