31 C
Dhaka
সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

আমাদের একজন আনিসুল হক ছিলো

যান্ত্রিক এই নগরীতে যে কোন সমস্যায় নগরবাসী আজও শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন আনিসুল হককে। তিনি ভালোবেসেছিলেন প্রিয় নগরকে। ব্যবসায়ী নেতা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব -সব ক্ষেত্রেই ছিলেন সফল। নানা পরিচয়ের ভিড়ে, হয়ে উঠেছিলেন মানবিক বোধসম্পন্ন এক গুণীজন।  বলছি, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কথা। সাত বছর পরেও নগরদরদী এই পিতাকে হারানোর মতো কঠিন সত্য, এখনো মানতে পারে না কেউ।

প্রতিদিনের সুর্যের মতোই প্রকৃতির নিয়মে জন্মায় মানুষ। কেউ ঝরে যায়, কেউ আবার আলোয় উজ্জ্বল করে চারপাশ। তেমনি একজন আনিসুল হক।

স্বপ্নবাজ মানুষটির  জন্ম ১৯৫২ সালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। শৈশব কেটেছে ফেনীর সোনাগাজীতে, নানার বাড়িতে। অর্থনীতি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সফল এই মানুষটি ছিলেন চৌকশ উপস্থাপক, উদ্যমী ব্যবসায়ী, প্রজ্ঞাবান নেতা। বাংলাদেশের মানুষ যার কথা শুনতো মন্ত্রমুগ্ধের মতো।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। তার উপস্থাপনায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ‘আনন্দমেলা’, ‘অন্তরালে’ ও ‘সবিনয়ে জানতে চাই’ –এর মতো সব অনুষ্ঠান।

আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন অুপ্রেরণা
ছবি সংগৃহীত

এক সময় জড়িয়ে পড়েন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদী গ্রুপ।

২০০৫ ও ২০০৬ সালে বিজিএমইএ এবং ২০০৮ সালে তিনি এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন। সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজকে নেতৃত্ব দেন ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। বেসরকারী খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিআইপিপি-এর সভাপতিও ছিলেন তিনি।

আনিসুল হক

ঢাকার প্রকৃত বয়স মাত্র ৪শ’ বছর নাকি ৮শ’ তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেয়র নিয়ে কোন সংশয় নেই নগরবাসীর। হাজারো সমস্যায় জর্জরিত এই শহরের মানুষ যখন হতাশায় ডুবে আছে, তখনই পর্দায় আগমন সুপারম্যান এক মেয়রের।

২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র নির্বাচিত হন স্বপ্নবাজ এই মানুষটি। তার স্বল্প সময়ের নেতৃত্বে, বদলে যেতে থাকে রাজধানী ঢাকার চেহারা। পোশাকের বুনন আর শৈল্পিক নকশার মতোই চাইলেন, নগরে তুলির আচর কাটতে। বিশৃঙ্খল রাজধানীর আধুনিকায়নে স্বপ্ন দেখালেন। কথার জাদুকর হলেন, নগর পিতা। জনমানসে জায়গা হলো সবুজ ঢাকার রূপকার হিসেবে।

নগরবাসীর চাপা কষ্টে প্রলেপ হয়ে এসেছিলেন। কিন্তু অসম্পুর্ণ অনেক কাজ রেখেই হার মানেন দুরারোগ্য ব্যাধির কাছে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর, লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে।

ব্যাক্তি আনিসুল হক হয়তো আর আসবেন না। কিন্তু রয়ে গেছে তাঁর নগর দর্শন। আর সেটিও যদি তাঁর মতো অকালে অস্তগামী হয়, চাপা দীর্ঘশ্বাস রয়ে যাবে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ও অস্পস্ট স্বরে উচ্চারিত হবে –

“আমাদের একজন আনিসুল হক ছিলো”।

যান্ত্রিক এই নগরীতে যে কোন সমস্যায় নগরবাসী আজও শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মানুষটিকে। তিনি ভালোবেসেছিলেন প্রিয় নগরকে। ব্যবসায়ী নেতা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব -সব ক্ষেত্রেই ছিলেন সফল। নানা পরিচয়ের ভিড়ে, হয়ে উঠেছিলেন মানবিক বোধসম্পন্ন এক গুণীজন।  বলছি, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কথা। সাত বছর পরেও নগরদরদী এই পিতাকে হারানোর মতো কঠিন সত্য, এখনো মানতে পারে না কেউ।

প্রতিদিনের সুর্যের মতোই প্রকৃতির নিয়মে জন্মায় মানুষ। কেউ ঝরে যায়, কেউ আবার আলোয় উজ্জ্বল করে চারপাশ। তেমনি একজন আনিসুল হক।

স্বপ্নবাজ মানুষটির  জন্ম ১৯৫২ সালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। শৈশব কেটেছে ফেনীর সোনাগাজীতে, নানার বাড়িতে। অর্থনীতি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সফল এই মানুষটি ছিলেন চৌকশ উপস্থাপক, উদ্যমী ব্যবসায়ী, প্রজ্ঞাবান নেতা। বাংলাদেশের মানুষ যার কথা শুনতো মন্ত্রমুগ্ধের মতো।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। তার উপস্থাপনায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ‘আনন্দমেলা’, ‘অন্তরালে’ ও ‘সবিনয়ে জানতে চাই’ –এর মতো সব অনুষ্ঠান।

এক সময় জড়িয়ে পড়েন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদী গ্রুপ।

২০০৫ ও ২০০৬ সালে বিজিএমইএ এবং ২০০৮ সালে তিনি এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন। সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজকে নেতৃত্ব দেন ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। বেসরকারী খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিআইপিপি-এর সভাপতিও ছিলেন তিনি।

ঢাকার প্রকৃত বয়স মাত্র ৪শ’ বছর নাকি ৮শ’ তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেয়র নিয়ে কোন সংশয় নেই নগরবাসীর। হাজারো সমস্যায় জর্জরিত এই শহরের মানুষ যখন হতাশায় ডুবে আছে, তখনই পর্দায় আগমন সুপারম্যান এক মেয়রের।

২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র নির্বাচিত হন স্বপ্নবাজ এই মানুষটি। তার স্বল্প সময়ের নেতৃত্বে, বদলে যেতে থাকে রাজধানী ঢাকার চেহারা। পোশাকের বুনন আর শৈল্পিক নকশার মতোই চাইলেন, নগরে তুলির আচর কাটতে। বিশৃঙ্খল রাজধানীর আধুনিকায়নে স্বপ্ন দেখালেন। কথার জাদুকর হলেন, নগর পিতা। জনমানসে জায়গা হলো সবুজ ঢাকার রূপকার হিসেবে।

নগরবাসীর চাপা কষ্টে প্রলেপ হয়ে এসেছিলেন। কিন্তু অসম্পুর্ণ অনেক কাজ রেখেই হার মানেন দুরারোগ্য ব্যাধির কাছে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর, লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে।

ব্যাক্তি আনিসুল হক হয়তো আর আসবেন না। কিন্তু রয়ে গেছে তাঁর নগর দর্শন। আর সেটিও যদি তাঁর মতো অকালে অস্তগামী হয়, চাপা দীর্ঘশ্বাস রয়ে যাবে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ও অস্পস্ট স্বরে উচ্চারিত হবে –

“আমাদের একজন আনিসুল হক ছিলো”।

আনিসুল হক

দেখুন: স্বপ্নবাজ আনিসুল হক বেঁচে আছেন মানুষের অন্তরে

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন