০৮/০৭/২০২৫, ২১:৩৪ অপরাহ্ণ
26.1 C
Dhaka
০৮/০৭/২০২৫, ২১:৩৪ অপরাহ্ণ

আমার জীবনে সুপার হিরো আমার বাবা : অমরেশ দত্ত জয়

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে কোন বিশেষ দিনকে ফুটিয়ে তোলা হলেও প্রকৃতপক্ষে মা বাবাকে স্মরণ করতে কোন বিশেষ দিন ক্ষণের প্রয়োজন নেই। তবুও প্রতিবছর জুন মাসের ৩য় রোববার আমি আমার জীবনের সুপার হিরো খ্যাত বাবাকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। কেননা তার অবদানের কারনেই আমি এই সমাজে মাথা তুলে কথা বলতে পারছি।

রোববার (১৫ জুন) নিজের বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বাবা দিবসে এই কথাগুলো বলেন অমরেশ দত্ত জয়।

তিনি বলেন, বোঝার বয়সটুকু হতে যে মানুষটিকে পুরো পরিবারকে সব পরিস্থিতিতে আগলে রাখতে দেখেছি তিনি আর কেউ নন আমার বাবা। তিনিই হচ্ছেন আমাদের সংসারের বটবৃক্ষ। আর এজন্যই সুন্দর গোছালো জীবন উপভোগ করছি। কিভাবে অল্প কথায় অনেক বড় প্রশ্নের সমাধান দেয়া যায় সে বিদ্যাটাও বাবার থেকেই রপ্ত করেছি।

অমরেশ দত্ত জয় বলেন, আমার বাবার নাম হচ্ছে হারাধণ চন্দ্র দত্ত। তিনি একাধারে স্কুল শিক্ষক, সমাজসেবক, পরোপকারী, চাকুরীজীবী এবং এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিত্ব। তিনি বহু কষ্ট করে নিজে পড়ালেখা করে চাকুরী নিয়েছিলেন। মেধাবী হওয়ায় কয়েক ধাপে বিভিন্ন সেক্টরে চাকুরী করেন। পরে অবসরে যান। আর আয়ের টাকা দিয়ে পরিবারের পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের উপকারে নিজে থেকেই সর্বদা এগিয়ে যেতেন। বাবার এমন পরোপকারী ও সামাজিক দায়িত্ববোধ আমাকেও শিখিয়েছেন।

অমরেশ দত্ত জয় পেশায় একজন সাংবাদিক। চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের বাহের খলিশাডুলী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তিনি একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি তার মা বাবার একমাত্র সন্তান। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ব্যবস্থাপনা থেকে এমবিএ শেষ করে এখন পুরোদমে চাঁদপুরে সাংবাদিকতা করে একের পর এক সাড়া সাজাগো সংবাদ প্রচার করে সবার নজর কড়েছেন।

অমরেশ দত্ত জয় বলেন, বাবার থেকেই আমার লেখালেখির আগ্রহ জন্মায়। বাবা নিয়মিত পত্রিকা পড়েন ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নোট লেখেন। তা দেখেই আমার সাংবাদিকতায় আগ্রহ। বাবাই শিখিয়েছে কিভাবে দুঃসময় ও ক্রান্তিকাল পার করতে হয়। কিভাবে নিজের বুদ্ধিমত্তায় এগিয়ে যেতে হয় ও মানুষের জন্য নিবেদিত হতে হয়। আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাগুরু আমার বাবাই। আমার স্কুল জীবন, পেশাগত জীবন, সাংগঠনিক জীবন সবটাতে এগিয়ে যেতে আকুন্ঠ উৎসাহ যুগিয়ে গেছেন আমার বাবা। আমাকে প্রতিষ্ঠিত করতে রৌদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সবসময় নিজের আন্তরিকতার সর্বোচ্চটুকু তিনি করে যাচ্ছেন। বাবা দিবসে আমি এটুকুই বলবো বাবা যাতে ভালো থাকে সুস্থ্য থাকে। আমিও যাতে আমার বাবার আদর্শ ধরে রেখে আগামীর জীবনও সুন্দরভাবে অতিবাহিত করতে পারি।

পড়ুন: বাবার গাড়ি ফি‌রে পে‌তে আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সহায়তা চাইলেন ড‌রিন

এস

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন