প্রবাসে শারদীয় উৎসব এক টুকরো ‘বাঙালি আনা’।যেখানে কর্মব্যস্ত জীবন আর ভিন্ন সংস্কৃতির মাঝেও বাঙালি তার শিকড়কে ভোলেনি। এখানে চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব, শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রবাসের এই আঙ্গিনায় মা দুর্গা যেন নিয়ে এসেছেন এক টুকরো বাংলা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরম্ভরপুর্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। দেশটিতে এবার ১০ টি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সনাতনি ধর্মালম্বীরা। আবুধাবি, আল-আইন,শারজা,আজমান, ফুজিরা অঞ্চলে এসব পূজোমন্ডপে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত করেছে পূজাকে। সবচেয়ে বড় পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে আজমানে উইনার স্পোর্টস ক্লাবে মিনি স্টেডিয়ামে। এ আয়োজনে পূজার্থী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মালম্বী হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। তাছাড়া এই উৎসব ঘিরে এবার প্রতিদিন জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ মেলার আয়োজন রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচার তুলে ধরা হয়েছে নানা ভাবে।
দেশটিতে পূর্বে বিভিন্ন প্রদেশে ঘরোয়াভাবে এই পুজোর আয়োজন হয়ে থাকলেও গত কয়েক বছর থেকে এই আয়োজন যেন মহা উৎসবে রূপ নিয়েছে। পঞ্চমী দিন থেকে পূজার্থীরা দেবীর আরাধনায় মত্ত রয়েছে। অত্যন্ত সৃজনশীল ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে মন্ডপগুলোতে মহাঅষ্টমীও সমাপ্ত করেছে পূজার্থীরা।
বাংলাদেশ মিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির বড় যে উৎসব আমাদের রয়েছে। তাঁর মধ্যে শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সব চেয়ে বড় উৎসব এবং প্রবাসে যারা সনাতন ধর্মাবলম্বী রয়েছেন ইউএইতে সব চেয়ে বড় আয়োজন আজমানের এ পূজা মণ্ডপ। তিনি আয়োজকদের প্রশংসা করে বলেন, প্রবাস জীবনে ব্যস্তার মধ্যেও এত বড় আয়োজনে অনেক পরিশ্রম জড়িয়ে রয়েছে তাই তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদ সভাপতি অজিত কুমার রায় বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবার তৃতীয়বারের মত দূর্গ পূজার আয়োজন করেছি। প্রবাসী সনাতনী সবাইকে নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি সনাতনী ১২ মাসের ১৩ পার্বন সেই পূজা আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে আমাদের বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচার সাংস্কৃতি যেনো ভুলে না যায় “তারি একটি প্রয়াস”। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানান আরব আমিরাত সরকারের প্রতি। বাংলাদেশ মিশন ও সনাতনী ঐক্য পরিষদের সদস্যদের আন্তরিকতায় এত বড় আয়োজনে করার সম্ভব বলে জানান তিনি।
এদিকে দেশটির সরকার এসব পূজা মণ্ডপগুলোতে যেন সুষ্টভাবে পূজা উদযাপিত হয় সে ব্যাপারে ব্যাপক প্রস্তুতি রেখেছেন।পূজা মণ্ডপ গুলোতে যেন সুষ্ঠুভাবে যেন উদযাপিত হয় সে ব্যাপারে দেশটির বাংলাদেশ মিশনও সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন বলে জানান আয়োজক কমিটি।
পড়ুন :আরব আমিরাত যাচ্ছে ওয়েস্টার্ন মেরিনের তৈরি টাগবোট ‘খালিদ’ ও ‘ঘায়া’


