সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র ২ উইকেটে হেরে লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ। ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় আরব আমিরাত। শেষ ওভারে ১২ রানের দরকার ছিল আরব আমিরাতের। বোলার তানজিম সাকিব এক ওভারে ১২ রান দিয়ে আরব আমিরাতকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন। টার্গেটে পৌছতে ৮ উইকেট হারায় আরব আমিরাত।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও জয়ের খুব কাছে ছিল বাংলাদেশ দল। তবে শেষ দিকে বোলিং ব্যর্থতায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২ উইকেটের ব্যবধানে হারতে হলো টাইগারদের।
ফিল্ডিংয়ে শুরু থেকেই বাংলাদেশের গাছাড়া ভাব পরিলক্ষিত হয়। যে কারণে বোলারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিং আর বাজে ফিল্ডিংয়ের জন্য আরব আমিরাতের সঙ্গে ২০৫ রান করেও হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে আমিরাতের ব্যাটিং ছিল আক্রমনাত্মক। বিশেষ করে আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মাদ ওয়াসিম ৪২ বলে ৮২ রান করেন। মূলত তার কাছেই হেরে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ দল। টাইগাররা প্রতিপক্ষের সামনে ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায়।
ম্যাচে জয় পেলেই সিরিজ নিশ্চিত হতো সফরকারীদের। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু করেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। মাত্র ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ বাঁ-হাতি ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন লিটন কুমার দাস।
তবে ফিফটি পূর্ণ করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ৩৩ বলে ৫৯ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। লিটনও ভালো শুরু করলেও ফিফটি করতে ব্যর্থ হন। ৩২ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন তাওহীদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শান্ত ১৯ বলে ২৭ রান করে আউট হয়ে যান। অপরদিকে হৃদয় বেশ কিছুক্ষণ টিকে থাকলেও ২৪ বলে ৪৫ রান করে উইকেট হারান।
পঞ্চম উইকেটে জাকের আলীও দ্রুত রান তুলতে থাকেন, তবে তিনি মাত্র ৬ বলে ১৮ রান করে ক্যাচ আউট হন। শেষদিকে শামীম হোসেনের ৬ রান ও রিশাদের ২ রানে ভর করে বাংলাদেশ দল ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে।
পড়ুন : বাংলাদেশের দুর্দান্ত ব্যাটিং, আমিরাতকে ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য