প্রতিকেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা লোকসানে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগার মালিকরা বলছেন, এবার আলুর উৎপাদন রেকর্ড ছুয়েছে। আর আলুর বাজারে নৈরাজ্য নায়ক ফরিয়ারা। রপ্তানিকারকদের দাবি, হিমাগার মালিকরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কৃষককে করেন সর্বশাস্ত।
ঢাকার বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু ২০ টাকার আশেপাশে। কৃষকরা দাম পাচ্ছেন ১১ থেকে ১২ টাকা কেজি প্রতি। অথচ, এবার আবাদ করতে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা। এখন প্রশ্ন, দাম এতো কমলো কেন?
বেসরকারি হিসাবে, আলুর উৎপাদন রেকর্ড ছুয়েছে। আবাদ হয়েছে প্রায় সোয়া কোটি টন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টন বেশি। তবে, কি বাম্পার ফলনে, কৃষকের মাথায় হাত? পাইকারী ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন তেমনটাই।
হাত বদল হয়ে আলু এখন যাচ্ছে ফরিয়াদের কাছে। হিমাগার মালিকরাও সংরক্ষণ করেন। তবে, জুলাই থেকে যখন হিমাগারের আলু বাজারে ওঠবে, সাধারণ মানুষের পকেট কাটা পড়বে নাতো? এই ব্যবসায়ী নেতা বলছে, আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, ফরিয়া গোষ্ঠী।
রপ্তানিমুখী পণ্যটির বাজার সামাল দিতে, আমদানীর অনুমতি দিতে হয় সরকারকে। হিমাগার মালিকরা আলু নষ্ট করে, বাজারে সংকট তৈরি করে আলুর, এমন বয়ান যখন শোনা যায়। তখন, হিমাগার মালিকরা বলছেন, অপপ্রচারের বয়ান।
আলু রপ্তানী হয়, তাই সংকট দেশে, এমন প্রচারও রয়েছে দাম বাড়ানোর কারসাজিতে। যদিও, বেসরকারি হিসাব বলছে, রপ্তানির পরিমাণ সামান্যই। পরিমাণ, ৪০ হাজার টনেরও নীচে, যা সরকারি হিসাবে আরও কম।
তথ্য উপাত্ত বলছে, এবার রপ্তানী বাড়লেও, তা এক লাখ টনের নীচেই থাকবে। আর এতো সামান্য রপ্তানী, দেশের বাজারে সংকট তৈরি করে কিনা, প্রশ্ন রপ্তানী সংশ্লিষ্টদের। তাদের উল্টো দাবি, ন্যায্য দাম নিশ্চিতে রপ্তানী বাড়ানোর দরকার।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, রপ্তানীর বড় বাজার মালয়েশিয়া। সঙ্গে, নেপাল, দুবাইসহ কয়েকটি দেশে যায় বাংলাদেশের আলু। আর রপ্তানীকারকরা পান ১০ শতাংশ প্রণোদনা।
অবশ্য, রপ্তানীকারকরা গলদ করে বাজার হারায় ২০১৫ সালে। রাশিয়ায় মানহীন আলু দিয়ে বদনাম কুড়ায় বাংলাদেশ।
এনএ/