24 C
Dhaka
মঙ্গলবার, মার্চ ২৫, ২০২৫

ইংল্যান্ডকে বিদায় করে আফগানিস্তানের স্মরণীয় জয়

সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করে ইব্রাহিম জাদরানের দুর্দান্ত ১৭৭ রানের ইনিংসে ভর করে ইংলিশদের ৩২৬ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানরা। জবাবে ১ বল বাকি থাকতেই ৩১৭ রানে থামে বাটলারের দল।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল। দুর্দান্ত এই জয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখল আফগানরা।

নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও জেমি স্মিথকে হারিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি ইংলিশদের। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বেন ডাকেটও ফেরেন ৩৮ রান করে।

তবে ব্রুক-বাটলারদের নিয়ে ছোট ছোট জুটিতে ইংলিশদের প্রতিরোধের নায়ক জো রুট। ক্যারিয়ারের ১৭তম সেঞ্চুরি তুলে ১২০ রান করে যখন ফিরলেন তখনও জয় থেকে ৩৯ রান দূরে দল।

এরপর আর্চার-ওভারটনের জুটিতে নাটকীয়তা হলেও ইংলিশদের শেষের লেজ গুটিয়ে দিয়ে আফগান রূপকথার পার্শ্বনায়ক শেষ পর্যন্ত আজমতউল্লাহ ওমরজাই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম জয়ের সঙ্গে একাধিক রেকর্ড সঙ্গী হলো আফগানদের।

এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আর্চারের পেস তোপে ৩৭ রানেই নেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। সেই ধ্বংসস্তুপে যেন ফিনিক্সি পাখি হয়ে উড়লেন ইব্রাহিম জাদরান। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে নিয়ে প্রথম প্রতিরোধ। ৪০ রান করে শাহিদী ফিরলেও হাল ছাড়েননি জাদরান। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক।

শেষ দিকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ওমরজাই ও নবীর চল্লিশোর্ধ দু’টি ইনিংসে যোগ্য সমর্থন পান এই আফগান তুর্কী। শেষ ওভারে যখন ফিরলেন, ততক্ষণে রেকর্ড বইয়ে লিখলেন নিজের নাম। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭৭ রান করে দলকে এনে দেন ৩২৫ রানের লড়াকু পুঁজি।

ইংল্যান্ডকে বিদায় করে আফগানিস্তানের স্মরণীয় জয়

আগামী শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার মোকাবিলা করবে আফগানিস্তান। ১ মার্চ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে ইংল্যান্ড।

উল্লেখ্য, ২০২৩ বিশ্বকাপে দিল্লিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে যে রুপকথা লিখেছিল আফগানিস্তান, লাহোরে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটালো ইব্রাহিম-আজমতউল্লাহ’রা।

দেখুন: চলমান পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করার আহ্বান সেনাপ্রধানের

আরও: দেশ এবং জাতির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে: সেনাপ্রধান

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন