ইউক্রেনের নিরাপত্তা ইউরোপের ঘাড়ে তুলে দিতে চান ট্রাম্প। আর কয়েক বছরের মার্কিন সহায়তার বিনিময়ে চান ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ। যে কারণে এই যুদ্ধ-প্রাণহানি-ধ্বংসযজ্ঞ, সেই ন্যাটোতে তো যাওয়াই হচ্ছে না ইউক্রেনের।
ইউরোপ মরিয়াভাবে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিক। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ওয়াশিংটন গেছেন মূলত সে উদ্দেশেই। তবে অনেকটাই শূন্য হাতে ওয়াশিংটন থেকে ফিরছেন তিনি।
ইউক্রেনের নিরাপত্তায় কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি হননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রশ্নে তিনি অনেক বিষয়েই খোলাখুলি অবস্থানে আছেন। কিন্তু সবার আগে চান রাশিয়া–ইউক্রেন চুক্তি।
তবে জেলেনস্কির ব্যাপারে সুর নরম করেছেন ট্রাম্প। মনে যাই থাক, মুখে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রতি তার অনেক শ্রদ্ধা। এর আগে জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরাচার’ বলেছিলেন ট্রাম্প।
তবে ইউক্রেনের নিরাপত্তায় পুরো ইউরোপ যে একাট্টা এমনও নয়। ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশ যেভাবে হোক ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। কিন্তু পোল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের এতে দ্বিমত আছে।
তাই ট্রাম্পের সঙ্গে দেনদরবার করছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন দুই জনই।
আপস ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার অবস্থানের দিকে ঝুঁকেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার আশা যুদ্ধবিরতি হলে পুতিন কথা রাখবে। আর শান্তি এলে সহজেই ইউক্রেনের বিরল খনিজ তুলতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
এনএ/