ইউটিউব এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, চাষাবাদ, উদ্যোক্তা হওয়া কিংবা নতুন কিছু শেখার অন্যতম বড় উৎস হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির এই যুগে ইউটিউব দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সফল আঙুর চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের প্রবাস ফেরত যুবক দেলোয়ার হোসেন।
দেলোয়ার হোসেন কয়েক বছর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের করিমপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রথমবারের মতো আঙুর চাষ দেখেন। সেখানকার কৃষকদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি দেশে ফিরে নিজ উদ্যোগে আঙুর চাষে মনোনিবেশ করেন। প্রথমে কয়েকটি চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পাশে মাত্র ১০ কাঠা জমিতে আঙুরের বাগান গড়ে তোলেন তিনি।
শুরুর দিকে কৃষি বিভাগ কিংবা এলাকাবাসীর কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা না পেলেও দেলোয়ার হোসেন ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে নিজের মতো করে চাষ চালিয়ে যান। অনেকে তাকে পাগল বলেও কটাক্ষ করতেন, কিন্তু দেলোয়ার থেমে যাননি। বরং চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন আঙুর চাষকে। বর্তমানে তার বাগান দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। তারা ফল দেখে মুগ্ধ হয়ে চারা সংগ্রহ করছেন।
দেলোয়ার জানান, বাগান তৈরিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। আর এবার তিনি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার আঙুর বিক্রির আশা করছেন।
তার বাবা জালাল উদ্দিন খাঁ বলেন, ছেলে প্রবাস থেকে ফিরে নিজেই ইউটিউব দেখে আঙুর চাষ শুরু করে। আমি অবসর সময়ে তাকে সহযোগিতা করি।
এলাকাবাসীরা জানান, দেলোয়ারের সফলতা তাদের অনুপ্রাণিত করেছে। বায়ার ক্রপ সাইন্সের কানিজ ফাতেমা ওয়ারিন বলেন, “ফলন দেখে আমরা মুগ্ধ। আমাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে।
গাংনী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, আমি মাঝে মাঝে এসে দেলোয়ারকে বিভিন্ন পরামর্শ দিই। তার সফলতা আমাদের গর্বিত করে।
গাংনী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার রাসেল রানা জানান, ফলের মিষ্টতা নিশ্চিত হলে এই চারা পুরো গাংনী উপজেলাসহ জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
পড়ুন: কৃষিখাতে ইউটিউব চ্যানেল থেকে সিলভার প্লে বাটন অর্জন মনিরুজ্জামানের
দেখুন: ইউটিউব থেকে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা, রয়েছে ১১টি গাড়ি
ইম/