স্বাগতিক জার্মানিকে কাঁদিয়ে ইউরোর সেমিতে উঠেছে স্পেন। শেষ আটের লড়াইয়ে পাওয়ার হাউজদের ২-১ গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশরা। এই আক্ষেপ নিয়ে ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন টনি ক্রুস। অন্য ম্যাচে রোনালদোর পর্তুগালকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে সেমির টিকিট কেটেছে ফ্রান্স।
একটি ম্যাচে যা যা দরকার সবকিছুই ছিল জার্মান আর স্পেনের লড়াইয়ে। টানটান উত্তেজনা, জমজমাট লড়াই, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। খেলার প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে দলকে লিড এনে দেয় দানি ওলমো। সেই লিড তারা ধরে রেখেছিল একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। তবে ৮৯ মিনিটে ভির্টজের গোলে সমতায় ফেরে জার্মানি।
খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। পরবর্তীতে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও চলে দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। খেলা তখন টাইব্রেকারের দিকেই এগোচ্ছে। ঠিক একেবারে শেষ মুহূর্তে ১১৯ তম মিনিটে গোল করেন মিকেল মেরিনো। তার সেই গোলেই রোমাঞ্চকর এক জয় পায় স্পেন।
ঘরের মাঠে ইউরো মিশন শেষ হয়েছে জার্মানির। সেই আক্ষেপ নিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন টনি ক্রুস। বিদায়ের দিনে অনেকটা আবেগজড়িত কণ্ঠেই জানিয়েছেন, আরেকটু থাকতে চেয়েছিলেন এই তারকা ফুটবলার।
ইউরোর আরেক ম্যাচে ফ্রান্সের মুখোমুখি হয় পর্তুগাল। যদিও প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল গোলশূন্য। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে পর্তুগালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় ফ্রান্স।
এই ম্যাচে হেরে ইউরো মঞ্চকে বিদায় জানিয়েছেন রোনালদো। রঙহীন বিদায়ের ম্যাচে দেখা গেল এক বিধ্বস্ত, হতাশাগ্রস্ত তারকাকে। টাইব্রেকারে জোয়াও ফেলিক্সের ওই শটটি যদি পোস্টে না লাগতো তাহলে হয়তো ম্যাচের চিত্রটা অন্যকিছু হলেও হতে পারতো। তবে শেষ পর্যন্ত রোনালদোকে ইউরোর মঞ্চটা ছাড়তে হলো পরাজিত নায়ক হয়েই।