‘তুমই মহাকাব্য, আলোকিত শিখার দীপ্ত প্রহরী’ স্লোগান কে ধারণ করে ৭জানুয়ারি ২০২৫, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে আকিজ কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সে ‘নবীন বরণ ২০২৫’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.মো.এনামুল হক।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আকিজ কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সের চেয়ারম্যান জনাব শেখ আজিজ উদ্দিন, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফ্যাশন ডিজাইনার ও মানবিক ব্যক্তিত্ব বিবি রাসেল,সাবেক অধ্যাপক ফাতিমা সুরাইয়া ও সায়েন্টিস্ট ড.ফাহমিদা তোফায়েল এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আকিজ কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সের প্রতিষ্ঠাতা শেখ সাবিনা।
আকিজ কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সে ‘নবীন বরণ ২০২৫’ উদযাপিত:
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আকিজ কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদা পারভীন।
অনুষ্ঠানে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের সূচনা সংগীতের মধ্যে দিয়ে। সংগীতের সাথে সাথে উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।এরপর ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয় অতিথিদের।বক্তব্যের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় অনুষ্ঠানের মূল আর্কষন নবীন শিক্ষার্থীদের।
প্রথম পর্বের শেষ অংশে সম্মাননা প্রদান করা হয় কৃতি শিক্ষার্থীদের। ২০২২ সালে গ্রেডিং পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত ৪র্থ বর্ষ বি.এসসি সম্মান পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্যের জন্য দুটি বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস প্রদান করা হয়।
শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস তুলে দিয়ে, বিশেষ অতিথি বিবি রাসেল তার বক্তব্যে বলেন,আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে সৃজনশীলতাকে একীভূত করাই সময়ের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন শুধু পাঠ্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চিন্তা- ভাবনায় নতুনত্ব আনতে হবে।নিজেদের কাজের মাধ্যমে দেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার দায়িত্ব নিতে হবে। ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে মানবিক মূল্যবোধ ও আত্মনিবেদন থাকা অত্যন্ত জরুরি।
দ্বিতীয় পর্বে নবীন শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা পরিচয় দেন। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে সমাপ্তি বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাহমুদা পারভীন বলেন,শিক্ষার্থীদের শুধু জ্ঞান অর্জন নয় বরং নৈতিক ও মানবিক বিকাশ ঘটিয়ে সুনাগরিক হয়ে উঠার চেষ্টা থাকতে হবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর।
নবীন বরণ ২০২৫ প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে সুশৃঙ্খল ভাবে শেষ হয়।অনুষ্ঠানে নবীন ও প্রবীণদের আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতে পথরেখা তৈরি হয় বলেও জানান অধ্যক্ষ।
টিএ/