39.2 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫

আদালতে সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় গ্রেপ্তার ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২৩ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।

অর্থপাচার মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার তদবির’করতে দুদকে মামলার আসামি সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান।ভ্যাট ফাঁকি দিতে ১০ কোটি টাকার তথ্য গোপন করে সাদিক অ্যাগ্রো

এর আগে সোমবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান। একই দিন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম অর্গানাইজডের উপ-পরিদর্শক জোনাঈদ হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধ্যমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করে। টেকনাফ ও উখিয়া, কক্সবাজার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয় এবং ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে বিক্রয় করে। প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু/ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু-ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রয় করে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার কাস্টমস হাউজ কর্তৃক আটক করা এবং সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে থাকা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জবাই করে ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রয়ের কথা থাকলেও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজেপত্রে সেগুলো জবাই দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা জবাই না করে কৌশলে হাতিয়ে নেয়। অনুমোদনহীনভাবে জোরপূর্বক মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও জবর দখল করে। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাক বিনিয়োগ করে রূপান্তর করেছে ইমরান হোসেন।

এ ছাড়া, সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে অর্থপাচার ও অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে সর্বমোট প্রায় ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করেছে।

পড়ুন : খেতাবপ্রাপ্ত আহত মুক্তিযোদ্ধার হাতে হাতকড়া কেন? আদালতে শমসের মবিন

দেখুন : প্রেমিকাকে ফিরে পেতে আদালতে মার্কিন যুবক, অতঃপর | 

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন