০৮/০৭/২০২৫, ২০:৪৩ অপরাহ্ণ
26.1 C
Dhaka
০৮/০৭/২০২৫, ২০:৪৩ অপরাহ্ণ

ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না : জার্মানি

ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি দেশ জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ।

এছাড়া ইরানের সামরিক পরমাণু কর্মসূচি থামাতে কূটনৈতিক সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি আবারও ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকেও সমর্থন জানিয়েছেন।

রোববার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ রোববার ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ফোনালাপে তিনি বলেন, ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না। জার্মান চ্যান্সেলরের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চ্যান্সেলর মের্জ ও ওমানের সুলতান উভয়েই একমত হয়েছেন যে— এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা ঠেকানো এবং যুদ্ধ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা।

তারা দুইজনই কূটনৈতিক উদ্যোগকে সমর্থন জানান, যাতে এই সংঘাতের অবসান ঘটানো যায়। চ্যান্সেলর মের্জ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ওমানের ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এদিকে রোববার ওমানের রাজধানী মাসকটে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ দফার যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা বাতিল করা হয়েছে। কারণ ওই আলোচনার আগেই ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায়।

চ্যান্সেলর মের্জ জানান, ইরানের সামরিক পরমাণু কর্মসূচি থামাতে কূটনৈতিক সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি আবারও ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকেও সমর্থন জানান।

তিনি বলেন, ইসরায়েল জার্মানির কাছে দমকল সরঞ্জাম চেয়েছে এবং “আমরা দ্রুতই তা সরবরাহের কাজ শুরু করব”। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই যুদ্ধ যাতে আরও বিস্তৃত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ইরান যেন ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধ করে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েল ইরানের ভেতরে একের পর এক হামলা চালিয়েছে, বিশেষ করে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, তেল ও গ্যাস স্থাপনাগুলোতে। এতে ইরানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের মৃত্যু হয়েছে। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক আকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

পড়ুন: ইসরায়েলের হামলায় ইরানে অন্তত ৪০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে

এস

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন