তেহরানে হামলার জবাবে তেল আবিবে পাল্টা ১০০টি ড্রোন পাঠিয়েছিল ইরান। তবে সেগুলো প্রতিহত করা হয়েছে বলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদেনে বলা হয়, ইসরায়েলের দিকে ছোড়া সব ড্রোন সফলভাবে আটকানো হয়েছে।
ইরানি ড্রোন আটকানোর পর ইসরায়েল নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকার আদেশ প্রত্যাহার করেছে। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, নাগরিকদের এখন আর আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার প্রয়োজন নেই। তবে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।
এর আগে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের ছোড়া বেশ কিছু ড্রোন সৌদি আরব, জর্ডান ও সিরিয়ায় প্রতিহত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া কমপক্ষে ১০০টি ড্রোন নিক্ষেপ করার পর তারা ‘পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়,ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান ইসরায়েলের সীমান্তের বাইরে ড্রোনগুলো গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো ড্রোনই ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
ইসরাইল জানিয়েছে, শুক্রবার (১৩ জুন) স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে ইরানের কমপক্ষে আটটি স্থানে হামলায় ইসরায়েল। ইসরাইলের এই হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনায়ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের হামলার পর, এখন ইরানের প্রতিশোধের ‘কোনো সীমা’ থাকবে না বলে জানিয়েছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী।
আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এখন যেহেতু আল-কুদস (জেরুজালেম) দখলকারী সন্ত্রাসী সরকার সব রেড লাইন অতিক্রম করেছে… তাই এই অপরাধের প্রতিক্রিয়া জানানোর কোনো সীমা নেই।’
পড়ুন: যতদিন প্রয়োজন, ততদিন আক্রমণ অব্যাহত রাখবে ইসরায়েল : নেতানিয়াহু
এস