ভারতের বিশেষ অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতের একটা অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এই অমুমোদনের সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। তার ভাষ্য, আমাদের সেই কমিটমেন্টটা এখনো আগের মতোই আছে, আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ইলিশের প্রাপ্যতা যেন নিশ্চিত করতে পারি। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যদি দাম বাড়ে সেই বিষয়ে অবশ্যই আমাদেরকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রপ্তানি বন্ধের দায়িত্ব তো আমার না। আমি আহ্বান জানাতে পারি কিন্তু বন্ধ করতে পারি না। রপ্তানি বা আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
১৩ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ
মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা নিয়ে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।
ভারতে ইলিশ রপ্তানি, অন্তর্বর্তী সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ
ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ পাঠায়। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রপ্তানির কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে বলে জানা যায়।