জেলে সুনু গাজীর জালে ধরা পড়লো একটি মাত্র ইলিশ। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা মেয়র বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে এসে ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করলেন ৫ হাজার ৬শত ২৫ টাকা।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার গঙ্গামতি এলাকার জেলে সুনু মাঝি বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে সমুদ্রে গিয়ে জাল তুলতে গিয়ে ইলিশটিকে পান ওই জেলে। পরে কুয়াকাটা মেয়র বাজারে নিয়ে আসলে রাসেল ফিসের মাধ্যমে নিলাম ডাকে মাছটি কিনে নেন নাসির উদ্দিন নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী।
জানা যায়, ডাকের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা মন বিক্রি হয়েছে মাছটি। মাছের ওজন হয়েছে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম। যার দাম নির্ধারিত হয়েছে ৫ হাজার ৬শত ২৫ টাকা। মাছটি বিক্রির জন্য রেখেছেন মৎস্য ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন।
নাসির উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকায় খুটা দিয়ে মাছটি শিকার করে নিয়ে এসেছে ওই জেলে। পরে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন আমাদের বাজারে। তবে এই রকম বড় সাইজের ইলিশ এখন খুব কম দরা পরে। আজকে মাছটি কিনেছি লাভের আশায়, এখন সামান্য ব্যবসা হলেই বিক্রি করে দিব।
ওই মাঝি সুনু গাজী জানান, আজকে ট্রলারে একটি মাছই পেয়েছি। সাগরে বড় ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। তবে আমি যে মাছটি পেয়েছি এটি সাইজে বড় হওয়ার কারণে আমি অনেক টাকা বিক্রি করেছি। খুব বেশি মাছ না পেলেও আল্লাহ যা দিয়েছে তাতে অনেক খুশি আমি।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বড় ইলিশ মূলত জেলেদের জন্য সুখবর বয়ে আনে। গভীর সমুদ্রের জেলেদের পাশাপাশি উপকূলের জেলেরাও এখন বড় ইলিশ পাচ্ছে। পুলিশের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে ইলিশের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। তাহলে দামটা আরো কমে আসবে।
উপজেলার বেশ কয়েকটি মাছের বাজারে কথা বলে জানা যায়, ইলিশ সংকট কিছুটা কাটতে শুরু করলেও তার দাম আকাশ চুম্বি। আজকে এক কেজির উপরের ইলিশ বিক্রি হয়েছে এক লাখ থেকে ১ লাখ থেকে ১লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামে ইলিশ ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৭০-৭৬ হাজার টাকা, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৪০ থেকে ৪৮ হাজার টাকা, ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৪৮ হাজার টাকা, জাটকা ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পড়ুন: কায়সার কামালের সহযোগিতায় ৭ম ধাপে চোখের চিকিৎসা পাচ্ছেন অর্ধশত মানুষ
দেখুন: দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড রোধে যশোর সীমান্তে সতর্ক বিজিবি |
ইম/


