হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে ইরান। এদিকে, আঞ্চলিক যুদ্ধের শঙ্কায় জাতিসংঘ। এমন টানটান উত্তেজনার মধ্যেই, ইরানের তেহরানে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে হানিয়ের জানাজা।
ইরানের তেহরান ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে ইসমাইল হানিয়ের জানাজায় সমবেত হাজার হাজার মানুষ। নামাজ পরিচালনা করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি। পরে মরদেহ নেয়া হয় তেহরানের ফ্রিডম স্কয়ারে। সেখানে হাজারো মানুষ উপস্থিত হয় হানিয়ের ছবি সম্বলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড, পোস্টার হাতে নিয়ে।
হানিয়ের মৃত্যু ঘিরে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহভাবে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকও করেছে। বৈঠকে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফেডা আব্দেলহাদি সতর্ক করেন, ইসরায়েল যেন যুক্তরাষ্ট্রকেও যুদ্ধে জড়াতে না পারে।
এ ছাড়া জাতিসংঘে ইরানের স্থানীয় প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকেও দায়ী করেন। বলেন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ছাড়া শুধু ইসরায়েলের পক্ষে এ কাজ করা অসম্ভব। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েল এখনো সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
হামাসের সামরিক শাখা এ হত্যার কঠিন জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তাছাড়া হানিয়ের হত্যার পরপরই আয়াতুল্লা খামেনি এক বার্তায় বলেন, ইহুদী শাসকরা নিজেরাই তাদের করুণ পরিণতির ভিত্তি গড়ে দিয়েছে এ হত্যার মাধ্যমে।