সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত এক ইসরায়েলি নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ রোববার (২৪ নভেম্বর) এই ঘটনাকে “ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” বলে উল্লেখ করেছেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোগানের মরদেহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ শনাক্ত করেছে। ইসরায়েল এই জঘন্য ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসী কাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে সব উপায়ে চেষ্টা করবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসের কাপুরুষ ও ঘৃণ্য কাজ’ বলে নিন্দা করেছেন।
এর আগে, শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জভি কোগান নামে ওই নাগরিকের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, নিখোঁজ জভি কোগান ইসরায়েল-মলদোভার নাগরিক। একইসঙ্গে তিনি ইহুদিদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সংগঠন চাবাদ এর সদস্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জভি কোগান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে এটা একটি সন্ত্রাসী কাণ্ড। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ ঘটনায় একটি বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। জভি কোগানের নিরাপত্তা এবং তার ভালো থাকা নিয়ে উদ্বেগ থেকে তাকে খুঁজে পেতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা থেকে এর আগে দেশটির নাগরিকদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
টিএ/
পড়ুন: খাদ্য সহায়তার কিছুক্ষণের মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলা
দেখুন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
