ইসরায়েলি সামরিক হামলায় পাঁচজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে বোমা হামলা
ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় কেন্দ্রীয় নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে একটি হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে পাঁচ সাংবাদিককে হত্যা করেছে। এছাড়া উত্তর গাজা শহরের একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছে। হামলায় অন্তত ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার বাস্তুচ্যুত শিবিরে হাইপোথার্মিয়ায় তিন ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাপমাত্রা হ্রাস, খাদ্য, পানি সংকট এবং প্রয়োজনীয় শীতকালীন পোষাক না থাকার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থী শিবিরেও অভিযান জোরদার করেছে। সেখানে হামলায় আটজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই নারী ও এক কিশোর রয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগ জানিয়েছে, গাজা-ইসরায়েল সংঘাতকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৫০০ জন সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য আহত হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৫০০ জন দু’বার আহত হয়েছে। আহত সৈন্যদের ৩৭ শতাংশ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আঘাতে ভুগছেন, যাদের বেশিরভাগই হাড়ে আঘাত পেয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫ হাজার ২০০ জন মানসিক রোগে ভুগছেন।

গাজায় বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি হামলায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ হাজার ৩৬১ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৭ হাজার ৮০৩ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।


