গাজার জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে যাত্রা করা ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর সদস্য হিসেবে আটক হওয়া বাংলাদেশি, মালয়েশীয় ও দক্ষিণ কোরীয় মানবাধিকারকর্মীরা, ইসরায়েলের আটক থেকে মুক্তি পেয়ে নিজ নিজ দেশে ফিরছেন। এতে সহায়তা করেছে তুরস্ক।
এর মধ্যে, বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম শনিবার (১১ অক্টোবর) দেশে ফিরেছেন। তিনিও মানবিক সহায়তা বহনকারী জাহাজগুলোর যাত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তাদেরকে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছিল।
ঢাকায় ফিরে তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলে গেলে চলবে না, গাজার মানুষ এখনো মুক্ত নয়। তাদের এখনো নির্যাতন করা হচ্ছে, আক্রমণ করা হচ্ছে। যতক্ষণ না তারা মুক্ত হয়, আমাদের কাজ শেষ নয়।’
তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্ক সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতে ফ্লোটিলায় যোগ দিতে চেয়ে অনেক মানুষ আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। আমাদের মতো আরও হাজারো ফ্লোটিলা যেতে হবে, যতদিন না ফিলিস্তিন মুক্ত হয়। আমাদের আসল সংগ্রাম এখনো বাকি।’
শহিদুল আলম আরও দাবি করেন, ইসরায়েলি বাহিনী তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে, রাগে তা ফেলে দিয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ কোরীয় মানবাধিকারকর্মী কিম আহ-হিউন স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ইস্তাম্বুল হয়ে ফিরছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান জানিয়েছেন, নয়জন মালয়েশীয় কর্মীও রোববার (১২ অক্টোবর) ইস্তাম্বুল থেকে মালয়েশিয়ায় ফিরবেন।
গত বুধবার, আন্তর্জাতিক জলসীমায় গাজার দিকে রওনা হওয়া ‘থাউজেন্ড মাদলিনস’ ফ্লোটিলার জাহাজগুলোতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী হামলা চালায়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ১৫০ মানবিক কর্মীকে আটক করে, পরে ফেরত পাঠানো হয়।
ইসরায়েল আগেও, গাজাগামী সহায়তা জাহাজে হামলা চালিয়ে তাতে থাকা মানবিক সামগ্রী জব্দ ও কর্মীদের আটক করে নির্বাসনে পাঠিয়েছে।
পড়ুন : গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি কবে থেকে শুরু হবে, জানালেন ট্রাম্প


