36 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫

ইসরায়েলের কাছে মানবতার কোনো মূল্য নেই : প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় এক রাতেই নারী ও শিশুসহ ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলকে তীব্র সমালোচনা করেছেন ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেত্রী ও সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডকে ‘ঠান্ডা মাথায় খুন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি সরকারের আচরণ প্রমাণ করে যে তাদের কাছে মানবতার কোনো মূল্য নেই।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করে বলেন, “ইসরায়েলি সরকার ১৩০টি শিশু সহ ৪০০ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিককে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে, যা মানবতার প্রতি তাদের শূন্য শ্রদ্ধা ও অমানবিকতার প্রকাশ।” তিনি আরও বলেন, “যত বেশি অপরাধমূলক কাজ তারা করে, তত বেশি তারা নিজেদের কাপুরুষ হিসেবে প্রকাশ করে।”

তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন, বলেন, “ফিলিস্তিনিরা অকল্পনীয় দুর্ভোগ সহ্য করেছে, তবুও তাদের মনোবল এখনো দৃঢ় এবং অটল। তাদের সাহসিকতা আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।” প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও যোগ করেন, “পশ্চিমা দেশগুলো এটা স্বীকার করুক বা না করুক, ফিলিস্তিনি জনগণের গণহত্যায় তাদের যোগসাজশের বিষয়টি বিশ্বের বিবেকবান নাগরিকরা দেখতে পাবে।”

এই ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ইসরায়েলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রকাশ পায় যে, তাদের কাছে মানবতার কোনো মূল্য নেই।

তিনি ফিলিস্তিনিদের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেন, তারা নিজেদের জীবন, পরিবার এবং দেশকে রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে, অথচ তাদের ওপর যে অত্যাচার করা হচ্ছে, তাও যেন কোনো মানবিক অধিকার বা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় নেই।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এই বক্তব্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানানো এক বক্তব্যের অংশ, যা গাজা উপত্যকায় চলমান বিমান হামলায় ৪০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হওয়ার পর আসে। জানুয়ারি মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পরও এই হামলা চালানো হয়। এই হামলা এবং তার পরবর্তী মন্তব্যের মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভারতের জনগণের কাছে ইসরায়েলের নির্দয়তা এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতির বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

পরুনঃ ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধান রোনেন বার বরখাস্ত

দেখুনঃ যেভাবে ইসরাইলের পতাকা খুলে ফেলল কাক |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন