ঈদের দুই-একদিন আগে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট কার্যত নীরব। যানবাহন ও যাত্রী সংকটে ঘাটে অলস সময় পার করছে ফেরি ও লঞ্চ। এমন যাত্রী সংকট ঈদের সময় কখনও দেখা যায়নি।
৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় দেখা গেছে, ঘাটজুড়ে নীরবতা। যাত্রীবাহী বাসের দেখা মিলছে না খুব একটা। ট্রাক টার্মিনাল পুরোটাই ফাঁকা। লঞ্চঘাটেও যাত্রী সংকট তীব্র। তিনটি ফেরিঘাটের সবগুলোই ফাঁকা। দুই-চারটি করে যাত্রীবাহী বাস ঘাটে আসলেও কোনো ধরনের ‘চিরচেনা বিড়ম্বনায়’ পড়তে হচ্ছে না। পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৭টি ফেরি।
ফরিদপুরের মধুখালী এলাকার মেহেদী হাসান সিলেট থেকে যাচ্ছেন বাড়িতে। ঈদের আগে পাটুরিয়া ঘাটের এমন নীরব দৃশ্য দেখে তিনি হতবাক। তিনি বলেন, বিগত কোনো ঈদের সময় পাটুরিয়া ঘাটের এরকম দৃশ্য দেখিনি। আগে যখন ঈদের সময় বাড়ি যেতাম পাটুরিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হতো। যানজটে নাকাল থাকতো পুরো ঘাট এলাকা। অসহনীয় ভোগান্তি মাথায় নিয়েই বাড়ি ফিরতে হতো। তবে আজকের চিত্র সম্পন্ন ভিন্ন। কোনো যানজট নেই। গাড়ির চাপ নেই। তাই খুব স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছি।
ঘাট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ রুটের গুরুত্ব কমে গেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার যানবাহন ফেরি পারাপার হতো এখন নেমে এসেছে ৩ ভাগের ১ ভাগে। যানবাহন পারাপার কম হওয়ায় ঘাট এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছুতেই প্রভাব পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বিআইডব্লিউটিসির আরেক অঞ্চলের ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদে ঘরমুখী যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।