ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর এই ঈদকে কেন্দ্র করে নাড়ির টানে আপন ঠিকানায় পাড়ি জমান লাখ লাখ মানুষ। ফলে প্রতি বছরের মতো এবারও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে টানা ছুটিতে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। ফলে কোথাও নেই কোনো যানজট, নেই ভোগান্তি। তবে মাথার উপর আছে সূর্যের তীব্র তাপ। আগুনের ফুলকি পড়ছে যেন রাজপথে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর হতে পারে। সম্ভাব্য এই তারিখ ধরে গতকাল বৃহস্পতিবারই ছিল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। গতকাল বিকেলে অফিস-আদালত ছুটির পর থেকেই রাজধানীর বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সকালে ভিড় ছিল বেশি। দুপরে মানুষ তাপপ্রবাহে একটু বের হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী, আগারগাঁওয়ে, মিরপুর, কালশি, মহাখালী, গুলশান, বাড্ডাসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যানজটহীন ফাঁকা ঢাকার এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়াও গুগল ম্যাপের সহযোগিতায় কোথাও কোনো যানজটের চিত্র দেখা যায়নি। তবে রাজধানীর প্রবেশমুখ ও বাহিরমুখগুলোতে যানবাহন চলাচলে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চিরচেনা সেই রাজধানী এখন অনেকটা ফাঁকা। রাস্তায় বের হলে গণপরিবহনের দীর্ঘ সারির দেখা নেই। নেই কোনো যানজট। কমেছে মানুষের আনাগোনা। রাজধানীর বিভিন্ন কাউন্টারে যাত্রীদের গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া রাজধানীর অভ্যন্তরে চলাচলকারী অধিকাংশ গণপরিবহনে আসন ফাঁকা থাকতেও দেখা গেছে। তারা মনে করছেন, গরমে দিনের বেলায় যাত্রী কিছুটা কম। সন্ধ্যার পর রোদের হলকা না থাকায় তখন মানুষ ভিড় করতে পারে।
তবে যানজটহীন ফাঁকা রাজধানীতে স্বাচ্ছন্দ্যে গাড়ি চলাচল করতে পারায় পরিবহন শ্রমিকেরা কিছুটা খুশি প্রকাশ করলেও যাত্রী সংকটে হতাশার কথা জানাচ্ছেন তারা। সন্ধ্যার পর গরম কমলে মানুষের চাপ বাড়তে পারে।
এদিকে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে টানা ৯ দিনের ছুটি। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচদিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সেখানে এখন নির্বাহী আদেশে ৩ এপ্রিলও ছুটি ঘোষণা করা হয়।