উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণগুলো সাধারণত বোঝা যায় না। তাই সময়ময়ত নজর না দিলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মত বড় বিপদ আসতে পারে। এ ধরণের ঘটনা দিনদিন বেড়েই চলেছে। তাই দেরি না করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এখনই। বদলাতে হবে জীবন যাপনের ধরন, দরকার হলে ওষুধও খেতে হবে।
উচ্চরক্তচাপ কি?
সাধারণত সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার ১৪০ ও ডায়াস্টোলিক ৯০ এর বেশি হলে বলা যায় কারো উচ্চ রক্তচাপ হয়েছে। তবে অনেক সময়ই রোগীর কোনো লক্ষণ থাকে না। নীরবে উচ্চ রক্তচাপ শরীরের নানা ক্ষতি করে ফেলে। তাই অনিয়ন্ত্রিত থাকলে বা চিকিৎসা করা না হলে রোগটি ‘নীরব ঘাতক’।
উচ্চ রক্তচাপে কিছু করণীয়:
১. অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা
উচ্চতার সঙ্গে শরীরের ওজনের ঠিক রাখা জরুরি। এই কাজটি করলে রক্তচাপ অনেকটাই কমিয়ে রাখা যায়। বাড়তি ওজন হৃদপিণ্ডের ওপর চাপ ফেলে রক্তচাপ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া বেশি ওজনের কারনে ঘুমেরও অসুবিধা হতে পারে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এটি আর্টারি থেকে প্রেশার কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
৩. চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। তবে শুধু খাবারের কোলেস্টেরলই রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ানোর জন্য দায়ী নয়। চর্বিযুক্ত খাবার যেমন- মাখন, চর্বিযুক্ত গরুর মাংস ও খাসির মাংসের পরিবর্তে অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন- সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, জলপাইয়ের তেল, মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
৪. গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম
গভীর শ্বাস- প্রশ্বাসের ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহয়তা করে। এই প্রচলিত শিথিল থাকার ব্যায়ামটি মানসিক চাপ কমায়। অনেক সময় মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
৫. ধূমপান ও মদ্যপান
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান করলে রক্তে উপকারী কোলেস্টেরল বা বেশি ঘনত্বের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে রাখতে অবশ্যই ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে। কারণ তামাকের মধ্যে থাকা রাসায়নিক রক্তচাপ বাড়িয়ে রক্তনালির দেয়াল ক্ষতি করে এবং আর্টারিকে সরু করে। এছাড়া অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৬. উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পটাসিয়ামযুক্ত খাবার
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পটাসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। মিষ্টি আলু, টমেটো, কমলার জুস, কিডনী বীন, মটরশুঁটি, বাঙ্গি, কিসিমিস ও অন্যান্য শুকনো ফল পটাসিয়ামের ভাল উৎস।
Leave a Reply